নৈতিক মূল্যবোধকে জাগিয়ে তুলতে যে প্রার্থনা করা হয়, তা কোনও ধর্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে সকালের প্রার্থনা সভায় সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণ নিয়ে এক মামলার প্রেক্ষিতে এদিন এই বড় রায় দিয়েছে আদালত। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রার্থনা সভায় এই শ্লোক উচ্চারণের বিষয়ে কেন্দ্র ২০১২ সালের ডিসেম্বরে একটি নির্দেশ দেয়। তার প্রেক্ষিতেই এই বার্তা আসে।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রাতঃ প্রার্থনা স্কুলে নৈতিক আদর্শকে আরও বেশি জাগিয়ে তুলতে করা হয়। সেই জায়গা থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, সূর্যকান্ত, এমএম সুন্দরেশের একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘এই প্রার্থনা গুলি শুধুই নৈতিক আদর্শকে আত্মস্থ করার জন্য। স্কুলে যে নৈতিক আদর্শ আত্মস্থ করানো হয়, তা চলতে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষা বেশি জরুরি। যে নৈতিক আদর্শ আত্মস্থ করানো হয়, তা কোনও ধর্মের গণ্ডিতে বাঁধা নয়। ’ এর আগে ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের তরফে এক নির্দেশে স্কুলের প্রাতঃ প্রার্থনায় সংস্কৃত শ্লোক ‘অসতো মা সৎ গময়’ সহ বিভিন্ন শ্লোক আওড়ানোর কথা বলে। আর সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা দায়ের হয় ২০১৭ সালে। তা ঘিরে এবার শীর্ষ আদালত রায় দিল। বাংলাদেশে ২০২৩ সাধারণ নির্বাচনের আগে হাসিনার ভারত সফর! কিছু তথ্য একনজরে
এই গোটা মামলা প্রসঙ্গে উঠে আসে সংবিধানের ২৮ (১) ধারা। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সংবিধানের ২৮ এর(১) ধারা অনুযায়ী, ‘কোথাও কোনও ধর্মীয় নির্দেশ যেতে পারে না কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে যা সম্পূর্ণরূপে রাষ্ট্রের ফান্ডে পরিচালিত হচ্ছে।’ আপাতত এই মামলা আগামী মাস পর্যন্ত মুলতুবি রাখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।