এখনই বন্ধ হচ্ছে না নির্বাচনী বন্ডের বিক্রি। রাজনৈতিক দলগুলির অনুদান সংগ্রহের মাধ্যম হিসাবে নির্বাচনীয় বন্ডের বৈধতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এর পরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে শুক্রবার জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন জানায়, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করা হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। ফলে এখন হঠাত্ করে বিক্রি বন্ধ করার কোনও যুক্তি নেই।
তবে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বৈধতা যাচাইয়ের আগে ১ এপ্রিল থেকে নতুন নির্বাচনী বন্ড বিক্রিতে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
তিন সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন এ এস বোপান্না ও ভি রামাসুব্রহ্মণিয়ন। এদিন বেঞ্চ জানায় গত তিন বছর ধরে নির্দিষ্ট মাসেই নিয়ম মেনে বিক্রি হয়েছে নির্বাচনী বন্ড। নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ নিয়েই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে বুধবারও এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। সেখানেও শীর্ষ আদালত জানায় যে, কমিশন নির্বাচনী বন্ডের পক্ষেই। তবে নির্বাচন কমিশন এই কথাও জানিয়েছে যে গোটা প্রক্রিয়া বেশ অস্বচ্ছ।
নির্বাচনী বন্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে বুধবার প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর কথায়, কে এই বন্ড কিনছেন, কোথায় সেটি হস্তান্তরিত হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়।
এর উত্তরে কেন্দ্রের আইনজীবী কে কে বেনুগোপাল জানান, বন্ড চেক বা ডিম্যান্ড ড্রাফ্টের মাধ্যমে কেনা যাবে। তবে, কোনও ব্যক্তির বন্ড কিনে কোন রাজনৈতিক দলকে দিচ্ছেন তা প্রকাশ্যে এলে সমস্যা রয়েছে। সেই ব্যক্তি হেনস্থার শিকার হতে পারেন। সে কারণেই তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হয়।
গত ১২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করে অ্যাসোশিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের পেশ করা আর্জিতে বলা হয়, বন্ডের স্বচ্ছতা প্রমাণের আগে পর্যন্ত তার বিক্রি বন্ধ করা হোক। আসন্ন ৫টি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই আর্জি বেশ তাত্পর্যপূর্ণ।
পিটিশনে প্রশান্ত জানিয়েছেন, 'আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল ও অসম নির্বাচনের আগে আপাতত বন্ধ হোক নির্বাচনী বন্ড। ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে নির্বাচনী বন্ড ব্যবহার করে বেআইনিভাবে টাকা তোলা বন্ধ করতে হবে। তাই নির্বাচনী বন্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে পর্যন্ত তার ব্যবহার বন্ধ করুক সর্বোচ্চ আদালত।'