লিভ ইন সম্পর্কে থাকা সঙ্গী কিম্বা সমকামী সঙ্গী যাঁরা একই ছাদের নিচে বসবাস করছেন তাঁদের ‘পরিবার’ এর স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এক মামলায় রায় দানের সময় এই বক্তব্য তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্ট। শুধুমাত্র একজন বিবাহিত দম্পতি বা বিবাহিত নারী পুরুষকেই পরিবারের আখ্যা দিতে হবে, এমন ভাবনা থেকে সরে আজা প্রয়োজন বলেও মন দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আদালত জানিয়েছে, ‘পারিবারিক সম্পর্ক হতে পারে ঘরোয়া, অবিবাহিত সঙ্গীদের মধ্যে বা সাধারণ নয় এমন কোনও সম্পর্কও হতে পারে।’ আদালতের পর্যবেক্ষণ বলছে, বিভিন্ন কারণে পরিবারের এই সংজ্ঞা সম্পূর্ণ হয় না। সুপ্রিম কোর্ট বলছে এই সংজ্ঞার আওতায় থাকা পরিবারের ধারণার প্রয়োজন আইনি সুরক্ষা। বিচারপতি এএস বোপান্না ও ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ একটি মামলার শুনানির সময় জানায়, ‘পরিবার’ শব্দটির আইনগত ও সমাজগত ধারণা থাকা প্রয়োজন। রবিবার এই মামলার রায়দানের সময় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, নানান কারণে একটি পরিবারের অবস্থান বদলে যেতে পারে। কারোর মৃত্যু কিম্বা কারোর ফের বিয়ে হলে, বা বিবাহ বিচ্ছেদ হলে, বা সন্তান দত্তক নিলে পাল্টে যায় পরিবারের সমীকরণ, আর সেই নিরিখেই সকল প্রকার সম্পর্ককে পরিবারের সংজ্ঞার আওতায় রাখার বার্তা দিয়েছে আদালত। 'মারো মুঝে মারো' ভাইরাল ভিডিয়োর সেই যুবকের সঙ্গে কোহলি, পাণ্ডিয়ার দেখা হল! এরপর?
আদালত সাফ ভাষায় জানিয়েছে, যদি কেউ বিয়ে না করে লিভ ইন সম্পর্কে থাকেন, তাহলে তাঁদের পরিবারের সংজ্ঞার মধ্যে রাখতে হবে, আবার কেউ যদি সমকামী সঙ্গীর সঙ্গে থাকেন তাহলেও পরিবারের আখ্যা দিতে হবে। উল্লেখ্য, এক মহিলা পেশায় নার্স মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন করে তা না পাওয়ায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁকে তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই জন্যই ছুটি দেয়নি, কারণ তিনি তাঁর স্বামীর আগের পক্ষের সন্তানদের দেখভালের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলায় রায় দেয় আদালত। আদালত এই মামলায় আগেও জানিয়েছে যে , কোনও কর্মরত মহিলার মাতৃত্বকালীন ছুটির অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, সমকামী সঙ্গীদের এক ছাদের নিচে থাকা ইস্যুতে বলা হয়েছে, হয়তো এই সম্পর্কগুলিতে চিরাচরিত পরিবারের বিষয়টি অনুপস্থিত, তবে এই ধরনের পরিবারেও একইভাবে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকে। তাই এই পরিবারগুলিরও একই রকমের আইনের সুরক্ষার অধিকারী হওয়া প্রয়োজন।