বাজার, কারখানা এবং মদের দোকান খুলতে দেওয়া হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ধর্মীয় স্থান বন্ধ থাকা নিয়ে দায়ের হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলা। তা বিবেচনা করে দেখতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে দেশজুড়ে ধর্মীয় স্থান খোলার বিষয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জবাব তলব করল শীর্ষ আদালত।
দেশের সর্বত্র সব ধর্মীয় স্থান খোলার আর্জি জানিয়ে মামলাটি দায়ের করেছে আমদাবাদের ‘গীতর্থ গঙ্গা ট্রাস্ট’। পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘বেকারত্ব, আর্থিক চাপ-সহ বিভিন্ন বিষয়ের জন্য অসংখ্য ভক্ত ও উপাসকের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলেছে মহামারী। ধর্মীয় স্থান খোলার অনুমতি দিলে তা অনেকাংশে সমাধান করা যাবে এবং তাঁদের আধ্যাত্মিক শান্তি এবং সুখ পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করা যাবে।’
ট্রাস্টের হয়ে পিটিশন দায়ের করা আইনজীবী সূর্যেন্দু শংকর দাস বলেন, ‘গত ৩০ মে'র আনলক ১.০ নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ধর্মীয় স্থান খোলার অনুমতি দেওয়ার প্রায় তিন মাস পরও সব ধর্মের উপাসনার স্থান খোলা নিয়ে রাজ্যগুলি কোনও নির্দেশ জারি করেনি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ৮ জুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) মেনে চলছে ধর্মীয় স্থানগুলি।’
সেই মামলার ভিত্তিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নোটিশ জারি করেছে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২১ অগস্ট প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জৈন ধর্মের উৎসবের শেষ দু'দিন মুম্বইয়ের তিনটি মন্দির খোলার অনুমতি দিয়েছিল। বেঞ্চ বলেছিল, ‘এটা আমাদের কাছে অদ্ভুত ঠেকছে যে আর্থিক স্বার্থ ও অর্থ-সহ প্রতিটি গতিবিধিতে ছাড় দিচ্ছেন আপনারা (মহারাষ্ট্র সরকার)। কিন্তু যদি ধর্ম জুড়ে গেলেই আপনারা বলছেন যে কোভিড ১৯-এর কারণে আপনারা পারবেন না।’
আমদাবাদের ওই ট্রাস্টের তরফে একই ধরনের আর্জি জানানো হয়েছে। পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক গতিবিধিতে অনুমতি দিয়ে এবং ধর্মচর্চায় নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার মাধ্যমে ব্যবসার গুরুত্বের পুরস্কার দিয়ে রাজ্যগুলি করোনাভাইরাস মহামারীর ঝুঁকি নিয়েছে।’
পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, ‘প্রত্যেক ভারতবাসীর মঙ্গল এবং আধ্যাত্মিক সুখের বিষয়ে’ চিন্তিত ট্রাস্ট। তাই যাবতীয় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে ধর্মীয় স্থান খোলার দাবি জানানো হচ্ছে। আর তা না করলে সংবিধানের ২৫ ও ২৬ ধারায় স্বীকৃত ধর্মচর্চার অধিকারের লঙ্ঘন করা হবে।