উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার আইনকে এর আগে 'অসাংবিধানিক' আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেই মামলার জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে আজ শীর্ষ আদালত রায় দিয়ে জানিয়ে দিল, উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা আইন বৈধ এবং সাংবিধানিক। এই আবহে এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায় বাতিল করেছে শীর্ষ আদালত। আর আজকের এই রায়ের ফলে উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা চালু রাখতে আর বাধা রইল না। এই নিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার মান বজায় রাখা রাজ্য সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে এর জন্যে মাদ্রাসা প্রশাসনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা যাবে না। এদিকে এই রায়ের ফলে সেই রাজ্যের কয়েক হাজার মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা পড়ুয়া স্বস্তি পেল। (আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী কি CJI-এর বাড়িতে গিয়ে ভুল করেছেন? মত জানালেন জাস্টিস চন্দ্রচূড়)
আরও পড়ুন: 'তদন্ত ঠিক পথেই যাচ্ছে', আরজি কর মামলায় CBI-কে দরাজ সার্টিফিকেট বিকাশের
আরও পড়ুন: সংবিধানের ৩৯ (বি) ধারায় সব ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে পারে না সরকার: SC
আজ সুপ্রিম কোর্ট বলে, 'উত্তরপ্রবেশের মাদ্রাসা শিক্ষা আইন বাতিল করার সময় এলাহাবাদ হাই কোর্ট বলেছিল যে এই আইটে কাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। তবে উচ্চ আদালতের সেই রায়তেই ভুল ছিল। মাদ্রাসা আইনে ধর্মীয় প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকায়, তা অসাংবিধানিক হতে পারে না। এই আবহে আদালত মাদ্রাসা শিক্ষা আইনের বৈধতা বহাল রাখছে। এই আইন সাংবিধানিক। যদিও মাদ্রাসা আইনের অধীনে ফাজিল এবং কামিল ডিগ্রি দেওয়ার বিষয়টি সাংবিধানিক নয়। কারণ এটা ইউজিসি গাইডলাইনের পরিপন্থী।' (আরও পড়ুন: 'ভোডাফোন-আইডিয়াকে ছাড়ের প্রস্তাব সমর্থন করি...', সরকারকে বলল এয়ারটেল)
প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিংহ যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৪ সালে উত্তরপ্রদেশে কার্যকর করা হয়েছিল এই মাদ্রাসা বোর্ড শিক্ষা আইন। পরে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার এসে উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলি নিয়ে এক সমীক্ষা করে। মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূল শিক্ষাব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা হয়। সেই সময় মাদ্রাসা আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এলাহাবাদ হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামালা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত মার্চ মাসে হাই কোর্ট মাদ্রাসা শিক্ষা আইন বাতিল করে বলেছিল, এই আইন ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের পরিপন্থী এবং এটি অসাংবিধানিক। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। এই আবহে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, মাদ্রাসা আইনে ধর্মীয় প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকায়, তা অসাংবিধানিক হতে পারে না।