ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তিনটি জনস্বার্থ মামলা চলছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে। সেই সমস্ত মামলার প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, রবীন্দ্র ভট এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ এই মামলার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে যে তিনটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে সেগুলি হল, শেল কোম্পানিতে হিসাব বহির্ভূত অর্থ বিনিয়োগ করা। এই মামলায় হেমন্ত সোরেন-সহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলাটি হল পাথর খাদানের ইজারা নিজের নামে করা এবং তৃতীয় মামলাটি হল এমএনআরইজিএ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতি। এই সমস্ত ক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে ইডি এবং সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন মামলাকারী। তারপরে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি শুরু হয়। তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন হেমন্ত সোরেন। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় ঝাড়খণ্ড সরকারের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং সে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল উপস্থিত ছিলেন। সিব্বলের যুক্তি ছিল, আবেদনকারী এফআইআর দায়ের না করেই সরাসরি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ফলে এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। গত শনিবার কীভাবে হাইকোর্ট জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি করছে সে বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু ইডি তরফে দাবি করেছিলেন, প্রযুক্তিগত কারণে ফৌজদারি আবেদনগুলি খারিজ করা উচিত নয়। তিনি বলেছিলেন, দুর্নীতির কোনও অভিযোগ থাকলে সেই আবেদন খারিজ করা যায় না। আবেদনকারীর আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসেটরের যুক্তিকে সমর্থন করেছিলেন। একইসঙ্গে তিনি আবেদনকারী এবং তার পরিবারের সুরক্ষাও চেয়েছিলেন। শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, যেহেতু এই আদালত এখন বিষয়টির শুনানি করছে তাই হাইকোর্ট আর এই মামলার শুনানি করতে পারবে না।