এবার কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি নিয়ে মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে হতে চলেছে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন এই সাংবিধানিক বেঞ্চে হবে মামলার শুনানি। জানা গিয়েছে আগামী ১১ জুলাই এই মামলার সুপ্রিম শুনানি হতে চলেছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দিল্লির সংসদভবন থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দিল্লির তরফে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির ঘোষণা হয়। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষিত হয়েছিল। এরপর ঝিলাম দিয়ে বয়ে গিয়েছে জল। ভূস্বর্গের বিধিতে নানান রকমের পরিবর্তন এসেছে। বিস্তর রাজনৈতিক আলোচনাও হয়েছে। এদিকে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সেই ৩৭০ ধারা অবলুপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলার ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রধান হিসাহবে নেতৃত্ব দেবেন। এই বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল, সঞ্জীব খান্না, বিআর গাওয়াই এবং সূর্য কান্ত। জম্মু ও কাশ্মীরের 'বিশেষ মর্যাদা' কেড়ে নিয়ে ৩৭০ ধারা বাতিল করার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০ টিরও বেশি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। আবেদনকারীদের দাবি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সাংবিধানিক বিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এর আগে, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) প্রধান মেহবুবা মুফতি এই বিষয়ে দ্রুত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ করেছিলেন। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছিলেন,'আমরা সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে পিটিশনগুলি গত চার বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে এবং এছাড়াও … জনগণের দুর্দশার দিকে, বিশেষ করে যুবকদের যাঁরা কোনও বিচার ছাড়াই জম্মুও কাশ্মীরের-এর ভিতরে এবং বাইরে কারাগারে রয়েছেন।'
এদিকে, সদ্য গত সেপ্টেম্বর মাসে আইএএস অফিসার শাহ ফায়জল এই ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি নিয়ে তাঁর দায়ের করা মামলার আবেদন সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান। কেন সেই মামলায় পিটিশনারের নাম থেকে ফয়জল নিজের নাম সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে ছিলেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তরও এদিন সুপ্রিম কোর্ট শুনবে বলে জানা গিয়েছে।
়্