আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কি সাংবিধানিকভাবে বৈধ? সোমবার শীর্ষ আদালত এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই মামলা শোনে। বেঞ্চে আছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ১০৩ তম সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম চালু করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জনহিত অভিযান, ইউথ ফর ইক্যুইলিটি-সহ অনেকে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল। পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল, সংবিধানের ৪৬ ধারার আওতায় 'শ্রেণি' বলতে শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়েছে। তাতে আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির কথা বলা হয়নি। ২০২০ সালের অগস্ট পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ।
এদিকে এই মামলার শুনানি চলাকালীন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছে যে দরিদ্রদের জন্য ১০% কোটা চালুর নিয়মটির কারণে জেনারেল শ্রেণির ৫০% আসনে থাবা বসানো যেতে পারে না। আদালতের তরফে বলা হয়, ‘কেন্দ্র যদি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য বিশেষ সংরক্ষণ আনতে চায়, তাহলে আগের সংরক্ষণের মধ্যে সেটাকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।’ ভারতের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছিলেন, ‘এই সংশোধনীর ফলে সাধারণ শ্রেণির মোট আসন ৫০ শতাংশ থেকে কমে ৪০ শতাংশ হবে। এটি সাধারণ বিভাগের প্রার্থীদের পদ খেয়ে নিচ্ছে।