ধোপে টিকল না নির্বাচনের কমিশনের আপত্তি। শুনানি চলাকালীন আদালতের পর্যবেক্ষণ সম্প্রচার বা প্রকাশ করা থেকে সংবাদমাধ্যমকে বিরত রাখার যে আর্জি জানিয়েছিল কমিশন, তা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, সেই আর্জি মেনে নেওয়া হলে পিছনের দিকে হাঁটা হবে।
একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ বাতিলের কোনও প্রশ্নই উঠছে না। কারণ সেই মন্তব্য কোনও বিচারবিভাগীয় রায়ের নয়। তবে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের মতে, মাদ্রাজ হাইকোর্ট যে মন্তব্য করেছিল, তা ‘কঠোর’ এবং কখনও কখনও সেই মন্তব্যের অপব্যাখ্যার সম্ভাবনা থাকে।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষিতে গত ২৬ এপ্রিল তীব্র ভর্ত্সনা করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য 'এককভাবে' দায়ী কমিশন। কমিশনকে ‘সর্বাধিক দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে বলার পাশাপাশি হাইকোর্ট জানিয়েছিল, কমিশনের আধিকারিকদের খুনের মামলাও রুজু করা যেতে পারে। সেই মন্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত বা প্রকাশিত হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কমিশন।
যদিও সেই মামলায় রায়ে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, শুনানির সময় আদালত যে পর্যবেক্ষণ করেছে, তা প্রকাশ করা থেকে সংবাদমাধ্যমকে বাধা দেওয়া যেতে পারে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নজরদারির ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টগুলির কাজের প্রশংসা করে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, পর্যবেক্ষণ করা থেকে হাইকোর্টকে বিরত রাখা বা আদালতের পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করা থেকে সংবাদমাধ্যমকে বিরত রাখলে তা পশ্চাত্গামী হবে। সংবাদমাধ্যম ক্রমশ উন্নত হওয়া প্রযুক্তির সঙ্গে আদালতকে পরিবর্তনশীল হতে হবে। শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারায় শুধুমাত্র মানুষকে বাকস্বাধীনতার অধিকার দেওয়া হয়নি, সংবাদমাধ্যমেরও সেই অধিকার প্রদান করা হয়েছে।