সুপ্রিম কোর্টের তরফে এদিন এক ঐতিহাসিক রায়ে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনে এবার থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের পদস্থ কর্তাদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে আর পুরনো নিয়ম লাগু থাকবে না, নিয়োগ হবে এক প্যানেলের আওতায়। প্যানেলে কারা থাকবেন, কীভাবে প্যানেল কাজ করবে তা নিয়েও স্পষ্ট বার্তা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এই ইস্যুতে কী বলেছে, দেখে নেওয়া যাক।
নির্বাচন কমিশন যাতে নিরপেক্ষ থাকে, তারজন্য একাধিক পিটিশন দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের কাছে। সেই পিটিশনে নজর দিয়ে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে নিজের রায়ে একটি প্যানেল তৈরি করার কথা বলেছে। বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে উঠে আসে ওই বার্তা।
যে প্যানেল তৈরি করার কথা বলা হয়েছে, সেখানে প্যানেল কর্তৃক নামের প্রস্তাব পাছানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। প্যানেলের সদস্য হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। বেঞ্চ জানিয়েছে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সমেত অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়ে তৈরি প্যানেল জরুরি।
কোর্ট জানিয়েছে, ‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা বজায় রাখার গুরুত্ব বিবেচনা করে’ গণতন্ত্রকে রক্ষার লক্ষ্যে এই মুহূর্তে কোর্টের নজরে উপলব্ধ সুরক্ষা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারদের দিতে হবে।
এদিকে বিরোধী দলের তরফে তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়ান এই প্যানেল তৈরির ঘটনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই ঘটনা বেশ ‘বড় বিষয়’। অন্যদিকে উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী এই পদক্ষেপকে যুগান্তকারী বলেছেন।
এদিকে, দেশের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনাররাও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি বলেন,' এই রায়কে স্বাগত, এটি বহুদিনের দাবি।'
প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভিএস সম্পথ বলেছেন,' একটি কমিটি দ্বারা বাছাই সর্বদা সরকারী আদেশ দ্বারা নির্বাচন হবে। এটা, সত্যিই, একটি স্বাগত সিদ্ধান্ত।'
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ সুষ্ঠ ও স্বচ্ছ্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া চালাতে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংবিধান স্বীকৃত সংস্থা। প্রয়োজনে একাধিক নির্বাচনী আধিকারিককে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সহকারী হিসাবে নিয়োগ করা যেতে পারে।