বিয়েতে খাবার কম পড়েছিল। এর জেরে বিয়ে বাড়ি থেকে কার্যত বেরিয়ে যাচ্ছিল বরের বাড়ির লোকজন। এদিকে বরযাত্রী যদি বেরিয়ে যায় তাহলে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। পরিবারের সম্মান বলে কথা! সুরাটের বারাছা এলাকার ঘটনা। এদিকে বরের বাড়ির লোকজনের ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে কনে সরাসরি ১০০তে ডায়াল করেন। এরপরই বিয়ে বাড়িতে চলে আসে পুলিশ । বর ও বরের বাড়ির লোকজনকে পুলিশ সোজা থানায় নিয়ে চলে আসে।
সেখানে পুলিশ বরকে বোঝায়। এরপর দম্পতি পুলিশকে অনুরোধ করে যাতে তারা মালাবদলের অনুষ্ঠানটার সময় থাকেন। সেই মতো পুলিশ হস্তক্ষেপ করে।
কী হয়েছিল ঘটনাটি?
রাহুল প্রমোদ মোহন্ত ও অঞ্জলি কুমারী মিতুসিংয়ের বিয়ে। রবিবার রাতে লক্ষ্মীনগর এলাকায় ছিল এই বিয়েবাড়ি।
এদিকে খাবার সময় দেখা যায় খাবার কিছুটা কম পড়ছে। এরপরই রেগে যায় বরযাত্রীরা। তাদের দাবি এটা পুরো অপমান। এদিকে বরের বাড়ির লোকজন জানিয়ে দেন এই মেয়ের সঙ্গে তাঁদের ছেলের বিয়ে দেব না। এরপরই কনে সোজা ফোন করেন ১০০ নম্বরে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
থানার ইনসপেক্টর আরবি গোজিয়া টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, আমাদের স্বান্তনা কেন্দ্র রয়েছে। মহিলা হেল্প ডেস্ক রয়েছে। এর মাধ্য়মে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা বরকেও বুঝিয়েছি। তাদের আমরা বুঝিয়েছি এমন ছোটখাটো বিষয়ে বিয়ে ভেঙে দেওয়াটা ঠিক হবে না। কারণ কনের বাবা অনেক আয়োজন করেছিলেন। বর বিষয়টি বুঝেছিলেন। কিন্তু তিনি আর বিয়ে বাড়িতে যেতে চাননি। কারণ সেখানে আবার সমস্যা হতে পারে। এরপর বরকনের সম্মতিতে থানাতেই মালাবদল হয়। বিদায়ী পর্বও হয়েছে থানাতে। পুলিশই মালা সহ অন্য়ান্য় সামগ্রী নিয়ে এসেছিল।