২০২০ সালে আইপিএল চলাকালীন সুরেশ রায়নার আত্মীয় খুন হয়েছিল। কোভিডকালে সেই প্রতিযোগিতা ছিল কোভিড বলয়ে। সেই বলয় ছেড়ে বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন সুরেশ রায়না। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীর মৃত্যু হল এনকাউন্টারে। ২০২০ সালে সুরেশ রায়নার আত্মীয়র খুনে অভিযুক্ত ছিল রশিদ আলি ওরফে 'চলতা ফিরতা সিপাইয়া'। শনিবার সন্ধ্যায় সেই রশিদ এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহপুর এলাকায়। রশিদ আলির মাথার দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা। (আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সমান ডিএ এই রাজ্যে, 'এগিয়ে বাংলা...', শুভেচ্ছা বার্তা শুভেন্দুর)
জানা গিয়েছে, শাহপুর থানা এলাকায় একটি দুষ্কৃতীদের গ্যাঙের থাকার খবর পায় পুলিশ। সেই সময় দুষ্কৃতীদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেই সময় বাইকে করে রশিদ এবং অপর এক দুষ্কৃতী পালাচ্ছিল। পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে তারা। সেই সময় পুলিশ জবাবি গুলি চালালে মৃত্যু হয় রশিদের। রশিদের থেকে দু'টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে এনকাউন্টারের সময় শাহপুরের স্টেশন হাউজ অফিসার বাবলু সিংয়ের গুলি লেগেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। রশিদের গ্যাঙের বাকি দুষ্কৃতীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান মুজফ্ফরনগরের এসএসপি সঞ্জীব সুমন।
আরও পড়ুন: রেশন তোলার নিয়মে 'আমূল পরিবর্তন', রাজ্য সরকারকে 'বাইপাস' করে কী জানাল কেন্দ্র?
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে পঞ্জাবে সুরেশ রায়নার আত্মীয়র বাড়িতে ঢুকে তিনজনকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে রশিদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও রশিদের বিরুদ্ধে প্রচুর ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ১৯ অগস্ট পঞ্জাবের পাঠানকোটে সুরেশ রায়নার আত্মীয়র বাড়িতে ডাকাতি করতে হানা দিয়েছিল রশিদ এবং তার গ্যাঙ। সেই ঘটনায় সুরেশ রায়নার কাকা অশোক কুমার এবং অশোকের ছেলে কুশল মারা যায়। অশোকের স্ত্রী আশা রানি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হন। পরে সেবছর ৩১ অগস্ট মৃত্যু হয় তাঁরও।