জয়শ্রী নন্দী
ভারতের কিছু অংশে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমনই ছবি ধরা পড়ল INSAT 3D, কোপার্নিকাস সেন্টিনেল ৩ এবং NASA-র একটি স্যাটেলাইটে। এতে স্পষ্ট যে চলমান তাপপ্রবাহের গুরুতর প্রভাব পড়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের উপর। এর জেরে বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন হয়েছেন। (আরও পড়ুন: ‘উপরওয়ালা যব ভি দেতা...’, টানা ৫ দিন বৃষ্টি বাংলায়, তারপরই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা)
আইএমডির শীর্ষ কর্তা এম মহাপাত্র বলেছেন, গ্রাউন্ড ভেরিফিকেশন করার আগে এই ডেটা বিশ্বাস করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণগুলি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে থেকে নেওয়া হয়। যাচাই না করলে এই তথ্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে। রাজস্থানে রেকর্ড সর্বোচ্চ জমির তাপমাত্রা নেওয়া হয়েছিল এবছর। তা ৫২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এই ডেটা ভয় এবং আতঙ্ক তৈরি করতে পারে তাই আমাদের দায়িত্বশীলভাবে কাজ করা উচিত।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইএমডি কর্তা বলেন, ‘আপনি কি জানেন ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস মানে কি? রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো গলে যাবে। আমি রাজস্থানে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই রাস্তা গলতে দেখেছি। এই সব তথ্য নিয়ে আমাদের খুব সাবধান হওয়া উচিত এবং প্রথমে সেই স্থানে গিয়ে যাচাই করা উচিত পুরো বিষয়টা।’
এদিকে ইতিমধ্যেই পঞ্জাব, দিল্লি, রাজস্থান, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এর আগে এপ্রিল মাসে দীর্ঘ ৭২ বছরের গরমের রেকর্ড ভেঙেছে রাজধানী। বিগত প্রায় ৬ সপ্তাহ ধরে দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাবাভিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি থাকছে। রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৪৭ জিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বেশ কয়েকদিন আমাদের রাজ্যেও তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছিল। পশ্চিমের জেলাগুলির পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার দমদমেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাবাভিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি থেকেছিল। তবে আপাতত রাজ্যের আকাশে জলীয় বাষ্প জমায় কিছুটা স্বস্তি মিলবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। তবে পশ্চিম ভারত ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে স্বস্তির কোনও খবর নেই এখনই।