আজ থেকে ছ’বছর আগে আচমকাই এক ঘোষণার মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছিল ৫০০ ও হাজার টাকার নোট। কালো টাকা রোধে এই পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময় দেশ জুড়ে ব্যাঙ্কগুলিতে বিশাল লাইন দেখা গিয়েছিল আম জনতার। নগদের হাহাকার দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকে বিগত ৬ বছরে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে দেশে। তবে এখনও দেশের সিংহভাগ মানুষই এখনও নগদ লেনদেনই বেশি পছন্দ করেন। এমনই দাবি করা হল এক সমীক্ষায়।
মিন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রতি বছর। তবে এরই মাঝে ২০১৬ সালের তুলনায় নগদ লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। মিন্টে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার তথ্য অুযায়ী, দেশের ৭৬ শতাংশ মানুষ এখনও মুদি দোকানে গিয়ে জিনিস কিনতে, বাইরে খেতে এবং আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নগদ অর্থ ব্যবহার করে। ‘লোকালসার্কেল’ নামক একটি সংগঠন এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে। নোটবাতিলের পর থেকে প্রতি বছরই এই সংগঠন নগদ প্রবাহ নিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছে।
সমীক্ষাটি দেশের ৩৪২টি জেলার ৩২ হাজার মানুষের ওপর চালানো হয়েছিল। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩২ হাজারের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ ছিলেন এবং ৩২ শতাংশ মহিলা। টিয়ার ১ থেকে ৪ শহর এবং গ্রামে এই সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষা অনুযায়ী, সম্পত্তি কেনাবেতার সময় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ নগদ খরচ করা হয়। তবে সম্পত্তি কেনা বেচার ক্ষেত্রে নগদ লেনকারীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এবছর প্রায় আর্ধেক হয়েছে। দেশের ২০ শতাংশ মানুষ এখন ইউপিআই ব্যবহার করেন। সেটা দেশের ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে এক বড় ধাপ। তবে এখনও সিংভাগ মানুষ বাজারে গিয়ে ফল, সবজি কিনতে নগদ ব্যবহার করেন। খুচরো বিক্রেতারাও নগদ লেনদেনকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। এদিকে কাজের লোকের মাইনে, সেলুন বা পার্লারে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে নগদের চল বেশি।