সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে Times Now-ETG Research Survey -র রিপোর্ট এবার সামনে এসেছে। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে অত্যন্ত চমকপ্রদ তথ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ৬৪ শতাংশ মানুষের কাছে পছন্দের মানুষ হলেন নরেন্দ্র মোদী। আর রাহুল গান্ধীকে কতজন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পছন্দ করেন জানেন?
রাহুল গান্ধীকে সব মিলিয়ে ১৭ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পছন্দ করছেন। আর ১৯ শতাংশ বাসিন্দা অন্য় কারোর পক্ষে তাঁদের মতামত দিয়েছেন।
টাইমস নাও ও ইটিজি রিসার্চ সার্ভের টিম নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার মতো যোগ্যতা রয়েছে এমন কাকে আপনি বেছে নেবেন?
প্রশ্নটা বেশ সোজা। কিন্তু উত্তরটা অবশ্য অত সহজ হয়নি। বিরোধীদের মধ্য়ে কার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তরে ১৭ শতাংশ রাহুলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পক্ষে মতামত দিয়েছেন ১৫ শতাংশ মানুষ। ১২ শতাংশ চান অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী হোন। এমকে স্ট্যালিনের পক্ষে রয়েছেন ৬ শতাংশ মানুষ। উদ্ধব ঠাকরের পাশে ৮ শতাংশ মানুষ রয়েছেন। ৪০ শতাংশ মানুষ কারোর পক্ষে মতামত দিতে চাননি।
ইন্ডিয়া জোটের চরম ডামাডোল। জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন নীতীশ কুমারের দল। একলা চলার ডাক দিয়েছেন মমতা। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন একাধিক শরিক। আরও সুবিধা বাড়ছে এনডিএর। সেই পরিস্থিতিতে ফের মোদীর পক্ষেই মতামত দিলেন বিরাট সংখ্যক মানুষ।
এদিকে সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে সামনে এসেছে এই সমীক্ষার রিপোর্ট। শেষ পর্যন্ত কে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে শেষ পর্যন্ত মোদীর পক্ষে রায় দিয়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ ওই সমীক্ষার রিপোর্টে।। সেক্ষেত্রে পরের পিএম হিসাবে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসছে নরেন্দ্র মোদীর নাম।
কিন্তু রাহুল গান্ধীর দল ৪০টি আসনও পাবে না বলে আগেই দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তবে শেষ পর্যন্ত কে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন সেটা নিশ্চিত করার জন্য় আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে সমীক্ষার রিপোর্টে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাংলার তৃণমূল নেত্রীর থেকেও এগিয়ে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর ন্যায় যাত্রাতেও বাম্পার ভিড় হচ্ছে। সেই সঙ্গেই এবার সার্ভে রিপোর্টেও মমতাকে টেক্কা দিলেন রাহুল গান্ধী।