বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > এনকাউন্টারে খতম অসমের কয়লা মাফিয়া, আগেই উদ্ধার ডায়েরি, তাতে কী লেখা ছিল?

এনকাউন্টারে খতম অসমের কয়লা মাফিয়া, আগেই উদ্ধার ডায়েরি, তাতে কী লেখা ছিল?

শুক্রবার হাইলাকান্দি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পরে তোলা ছবি।

লালা থানার ওসি এ বসুমাতারি জানিয়েছেন, উমেদনগর এলাকায় অবৈধ কয়লাবোঝাই একটি ট্রাককে গত ১০ই এপ্রিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এদিকে সেই ঘটনার তদন্তে দেখা যায় মেঘালয় থেকে ট্রাকটা আসছিল। এর সঙ্গে আব্দুল আহাদ জড়িত।

বিশ্বকল্য়াণ পুরকায়স্থ

সন্দেহভাজন কয়লা মাফিয়া আব্দুল আহাদ চৌধুরীকে শুক্রবার অসমের করিমগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আর শনিবার রাতে হাইলাকান্দির কাছে একটি গ্রামে তার মৃত্যু হয়েছে এনকাউন্টারে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া করিমগঞ্জের সুতারকান্দি এলাকার বাসিন্দা ছিল সে। একই অভিযোগে এর আগে একাধিকবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল।

হাইলাকান্দির পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায় জানিয়েছেন, আব্দুল আহাদকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলাও হয়েছিল। রুটিন মেডিক্যাল চেক আপের জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় সে পালিয়ে গিয়েছিল। এরপরই হাইলাকান্দি এলাকায় পুলিশ তার খোঁজ চালাচ্ছিল। এদিকে আমাদের সোর্স খবর দেয় সে অপর একজনকে নিয়ে একটি বাইকে চেপে পালাচ্ছে। পুলিশ দেখে সে গুলি চালানো শুরু করে। তখনই পুলিশ পালটা প্রতিরোধ করে। তাতেই সে আহত হয়।

এদিকে তার সঙ্গী এই সুযোগে পালিয়ে যায়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পুলিশ মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে এই ঘটনায় পুলিশের কেউ আহত হননি। লালা থানার ওসি এ বসুমাতারি জানিয়েছেন, উমেদনগর এলাকায় অবৈধ কয়লাবোঝাই একটি ট্রাককে গত ১০ই এপ্রিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এদিকে সেই ঘটনার তদন্তে দেখা যায় মেঘালয় থেকে ট্রাকটা আসছিল। এর সঙ্গে আব্দুল আহাদ জড়িত।

এদিকে ২০১৮ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার বাড়ি থেকে একটি ডায়রিও পাওয়া যায়। তাতে একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ কর্তার নাম ছিল যাদের সে কয়লা পাচারের বিনিমিয়ে নিয়মিত টাকা দিত। অন্তত ১৭জন প্রভাবশালীকে সে ৩.৫১ কোটি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।

বন্ধ করুন