আত্মহত্যা নাকি খুন? মধ্যপ্রদেশে এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার (২১) মৃত্যু ঘিরে সেই রহস্য দানা বাঁধছে। প্রাথমিকভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে লোকসানের জেরে আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও একটি মেসেজ দেখিয়ে ওই পড়ুয়ার বাবা দাবি করেছেন, তরুণকে খুন করা হয়েছে।
পড়ুয়ার বাবার ফোনে কী মেসেজ এসেছিল?
'হিন্দুস্তান টাইমস' গ্রুপের 'লাইভ হিন্দুস্তান'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, পড়ুয়ার বাবা উমাশংকর রাঠৌর দাবি করেছেন যে ফোনে একটি মেসেজ এসেছিল। তাতে লেখা ছিল, 'রাঠৌর সাহেব, আপনার ছেলে খুব সাহসী ছিল। গুস্তাখ-ই-নবীর একটিই সাজা, মাথা থেকে দেহ আলাদা করে দেওয়া।' ওই মেসেজের ছবি এবং পড়ুয়ার ছবি কোলাজ করে মৃতের ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়্যাটসঅ্যাপের 'ডিসপ্লে পিকচার' করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন উমাশংকর।
'লাইভ হিন্দুস্তান'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানিয়েছিল যে রবিবার ভোপালে একটি স্কুটার ভাড়া করে নির্মদাপুরমের দিকে যাচ্ছিলেন ওই ছাত্র। তারপর আবার শহরের দিকেই বাঁক নিয়েছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা ছ'টা নাগাদ একটি স্টেশনের কাছে লাইন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। যিনি ভোপালের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু, জানিয়েছে পুলিশ
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রায়সেনের এসএসপি অমৃত মীনা জানিয়েছেন যে ওই ছাত্রের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করা হয়েছিল। সেইসময় তাঁর বাবার ফোনে একটি মেসেজ গিয়েছিল। বিকেল পাঁচটা ৪৮ মিনিটে এক বন্ধুকে রিপ্লাইও দিয়েছিলেন ওই ছাত্র। তারপর সন্ধ্যা ছ'টা পাঁচ মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে জিটি এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল।