৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মনে করা হচ্ছিল, ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানোর রণকৌশল ঠিক করতেই দিল্লি যাত্রা শুভেন্দুর। অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার কথাও ছিল নন্দীগ্রামের বিধায়কের। তবে শেষ পর্যন্ত শাহি দর্শন না মেলায় দেখা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির সঙ্গেই। বললেন নন্দীগ্রামের উন্নয়ন করার কথা।
২০০ আসনের স্বপ্ন দেখা বিজেপিকে বিধানসভা নির্বাচনে থমে যেতে হয় ৭৭ আসনেই। তারপর দুই সাংসদ - জগন্নাথ সরকার এবং নিশীথ প্রামাণিক বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলে সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় ৭৫-এ। এরপর থেকে পরপর বিধায়কদের দলবদলে ৭০-এর নিচে নেমে গিয়েছে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা। এর জেরে পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে শুভেন্দুর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, বিজেপি বিধায়কদের দলবদলের নেপথ্যে শুভেন্দুর 'দাম্ভিক আচরণ' দায়ী বলে দিল্লিতে অভিযোগ করেছেন গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ নেতৃত্বের একাংশ। এই আবহে বিজেপির ভাঙন রুখতে এবং ভবানীপুরে মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানানর মতো বিষয়ে আলোচনা করতে দিল্লি যাত্রা করেন শুভেন্দু। তবে বুধবার সারাদিনে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা হল না শুভেন্দুর। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির সঙ্গে দেখা করে নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার মধ্যে যোগাযোগকারী সেতু নির্মাণ এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ দ্রুত সম্পন্ন করার আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। এছাড়াও শুভেন্দু বুধবার দেখা করেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী এবং দলের নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এদিকে বুধবার রাতে ফেরার কথা থাকলেও অমিত শাহের সঙ্গে দেখআ করতে আরও একদিন দিল্লিতেই থাকছেন শুভেন্দু।