‘ভোট-পরবর্তী হিংসায়’ বাংলার অবস্থা কেমন? তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে দাবি করলেন, রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের উপর ‘হিংসা’ হচ্ছে, তাতে যুক্ত আছেন বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা।
বুধবার বেলা ১২ টা নাগাদ ৭ লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছান পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তারপর মিনিট ৪৫-এর মতো বৈঠক সেরে বেরিয়ে যান। বৈঠক সেরে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘আমি মোদীজিকে বলেছি যে রাজ্যে বিজেপি কর্মীরা হিংসার শিকার হচ্ছেন। কমপক্ষে ২৫ জন মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই অপরাধে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা যুক্ত আছেন। হাজার-হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে আছেন।’
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে দেখা করেছিলেন শুভেন্দু। শাহের হাতে ভোট–পরবর্তী হিংসা নিয়ে তথ্য তুলে দিয়েছিলেন। মোদীর সামনে একই বিষয় তুলে ধরেন শুভেন্দু। পরে টুইটারে মোদীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির সঙ্গে দেখা করতে পেরে ধন্যবোধ করছি। আমায় মূল্যবান সময় দেওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ। বাংলা এবং অন্যান্য বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ৪৫ মিনিট বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য তাঁর সমর্থন ও পরামর্শ চেয়েছি।’
যদিও শুভেন্দুর দিল্লি সফরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বিজেপিতে গিয়ে শুভেন্দু ফেঁসে গিয়েছেন। তাই নিজেকে বাঁচাতে ও নিজের পদ বাঁচাতে বারবার দিল্লি দৌড়াচ্ছেন।' সঙ্গে যোগ করেন, ‘শুভেন্দুকে নিয়ে বিজেপিরও মোহভঙ্গ হয়েছে। বিজেপি বুঝেছে এই রাজ্যে সরকার পালটাতে গেলে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীকে দলে নিলে বা তার উপর নির্ভর করলে চলবে না। সেখানে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও জে পি নড্ডার সঙ্গে দেখা করে তাঁরা যে ধরনের কথা শুনতে পছন্দ করেন সে ধরণের কথা বলছেন শুভেন্দু।’