তৃণমূল প্রায়ই কটাক্ষ করে, বঙ্গ বিজেপির অন্দরে নাকি অনেক বিজেপি। যেমন সুকান্ত বিজেপি, শুভেন্দু বিজেপি, দিলীপ বিজেপি। এসবের মধ্য়েই সোমবার দিল্লিতে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের বাসভবনে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদারের বাসভবনে মিটিং ছিল সাংসদদের। সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সুকান্তর নতুন বাসভবনে হাজির হয়েছিলেন বাংলার একাধিক বিজেপি সাংসদ। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীও গিয়েছিলেন। বৈঠক শুরুর আগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মন্ত্রী হওয়ার পরে একটা বড় বাড়ি পেয়েছি। এটাই এখন দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির অফিস। আমরা ঠিক করেছি সংসদের প্রতি অধিবেশনে দলের সাংসদদের সঙ্গে একবার করে বৈঠকে বসব। এবার আজকের দিনই ঠিক করেছি কারণ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দিল্লিতে এসেছেন। রথ দেখা কলা বেচা একসঙ্গে হয়ে যাবে। তাঁর উপস্থিতিতে সাংসদরা আলোচনায় বসলে রাজনৈতিক আলোচনাও হবে। একটু খাওয়া দাওয়া হবে। খাওয়া দাওয়া ছাড়া তো বাঙালির আলোচনা হয় না।
কী আলোচনা হল?
বৈঠক শেষ করে সুকান্ত বলেন, ছাব্বিশে তৃণমূলকে হারানো আর সোনার বাংলা গড়তে কী করণীয় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া পরিবারের লোকেরা যেভাবে খাওয়া দাওয়া করে, আলোচনা করে তাও হয়েছে। সাংসদদের কাছ থেকে কিছু পরামর্শ এসেছে। সেগুলি সাংগঠনিক বৈঠকে আলোচনা করব।
একেবারে ফুলের তোড়া হাতে সুকান্তর বাড়িতে যান শুভেন্দু। তার আগে পর্যন্ত কার্যত অপেক্ষায় ছিলেন সুকান্ত। দিল্লির বৈঠকে কার্যত ভাব আরও দৃঢ় হল দুই নেতার । এমনকী সূত্রের খবর, একজন যখন কথা বলেছেন তখন অপরজন শুনেছেন। কেউ কারোর মতামতের সেভাবে বিরোধিতা করেননি। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বৈঠকে একেবারে পাশাপাশি চেয়ারে বসেছিলেন দুজনে। সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্ত মজুমদারের বৈঠকখানায় বসে আলোচনার আসর। সেখানে শুভেন্দু-সুকান্ত ছাড়া ছিলেন জয়ন্ত রায়, রাজু বিস্তা, খগেন মুর্মু, সৌমেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখ। সংসদে বাংলার বিজেপি সাংসদরা যাতে আরও বেশি করে সরব হন সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এসবের মধ্য়েই একটা প্রশ্ন তো ঘুরপাক খাচ্ছিলই। বাংলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন? সুকান্তর ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলতে পারবেন। তার সঙ্গেই সংযোজন, আপনারা যেভাবে খুশি দেখতে পারেন। যেভাবে আপনারা ভাবছেন সেভাবেও দেখতে পারেন। আবার বিদায় সংবর্ধনা হিসাবেও দেখতে পারেন। আমার কাছে দুটোই সমান।
তবে শুভেন্দু এদিন যেভাবে সুকান্তর সংসদের ভূমিকার প্রশংসা করলেন তা নজর কেড়েছে অনেকেরই।