সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৯ বিরোধী নেতা। এবার সিবিআই-এর বিরুদ্ধে 'নালিশ' ঠুকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সিবিআই-এর বিরুদ্ধে শুভেন্দুর 'নালিশ' মমতার বক্তব্য থেকে আলাদা। মমতা নিজের চিঠিতে অভিযোগ করেছিলেন, ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে বিরোধীদের অপদস্থ করা হচ্ছে। এদিকে মোদীকে শুভেন্দুর অভিযোগ, মমতাকে সমীহ করছে সিবিআই। শুভেন্দুর অভিযোগ, মমতার পদের কথা মাথায় রেখে সিবিআই নিজেদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছে না। (আরও পড়ুন: 'ডিম-ভাত ছাড়াই জমায়েত', ডিএ আন্দোলনে অভাবনীয় দৃশ্য)
মোদীকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেছেন, 'সিবিআই কি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদকে ভয় পাচ্ছে? সারদা মামলার দশ বছর পরও কেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত শুরু করেনি সিবিআই?' এর আগে মমতা নিজের চিঠিতে অভিযোগ করেছিলেন, বিরোধী দল থেকে যে সমস্ত নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা থাকলেও তার তদন্তের গতি মন্থর। সরাসরি শুভেন্দুর নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়েছিল, নারদা মামলায় অভিযুক্ত হলেও সিবিআই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না। এই আবহে সোমবার সকালে শুভেন্দু চিঠি পাঠান প্রধানমন্ত্রীকে। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নিজের পাঁচ পাতার চিঠিতে তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু নিজের চিঠিতে অভিযোগ করেন, 'সারদার সঙ্গে মমতার যোগ ক্ষমতায় আসার আগের থেকেই।'
শুভেন্দু চিঠিতে লেখেন, '২০১৪ সালে সারদা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়েছিল, যেহেতু এই মামলায় শাসকদলেরই বহু প্রভাবী জড়িত, তাই রাজ্য পুলিশকে এই মামলার তদন্তভার দেওয়া যাবে না। সেই সময় আশা করা হয়েছিল, এই মামলার মূলে যিনি বা যাঁরা আছেন, তাঁকে বা তাঁদের পদের তোয়াক্কা না করেই সিবিআই তদন্ত চালাবে এবং দোষীদের প্রকাশ্যে আনবে। কিন্তু তা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সারদা মামলায় সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করার ব্যাপারে সিবিআই উদাসীন। সিবিআই কি তাঁর পদকে সমীহ করে চলছে? আর তাই কোনও তদন্ত হচ্ছে না তাঁর বিরুদ্ধে?' কুণাল ঘোষের মন্তব্যের উল্লেখ করে শুভেন্দু লেখেন, 'এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক সাংসদ মিডিয়ার সামনে গলা ফাটিয়ে বলেছিলেন, মমতাই সারদা কেলঙ্কারির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। তাও কেন সিবিআই তাঁর কথা শোনেনি?'