নারদ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কী করে সিবিআই পক্ষের কৌঁসুলি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়িতে? এই প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। নারদ মামলার শুনানি চলার মাঝেই নয়াদিল্লিতে সিবিআই–এর আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করে বিতর্ক বাড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। কারণ নারদ মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় শুভেন্দুর নামও রয়েছে। তাহলে কী নিজের নাম যাতে না ওঠে তাই শলা–পরামর্শ করতে গিয়েছিলেন? উঠছে প্রশ্ন।
নয়াদিল্লিতে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পরেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়ি গিয়েছেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার নেতা তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়ান ট্যুইট করে বলেছেন, সিবিআই ও ইডি’র হয়ে নারদ এবং সারদা মামলায় সওয়াল করছেন তুষার মেহতা। সলিসিটর জেনারেলকে নিয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই প্রশ্ন, ঠিক কী হচ্ছে নয়াদিল্লিতে? বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন ডেরেক। শুভেন্দু অধিকারী মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে। এমনকী, এই মর্মে তাঁকে গ্রেফতারির দাবিও তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লির ১০ আকবর রোডের বাড়িতে যান শুভেন্দু অধিকারী। বাড়িটি কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার। গোটা দেশে কেন্দ্র যত ধরনের মামলা লড়ে তার প্রায় সবকটাই সামলান কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইনজীবী। এখন কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে যে নারদ মামলার শুনানি চলছে, সেখানে সিবিআই–এর হয়ে সওয়াল করছেন তুষার মেহতা। হঠাৎ সরকারি কৌঁসুলির বাড়ি গিয়ে প্রায় ১৫ মিনিটের একটি ‘বৈঠক’ করেন নারদ মামলায় অভিযুক্ত শুভেন্দু। এবার তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও শুভেন্দু এই নিয়ে মুখ খোলেননি।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ সরাসরি শুভেন্দুকে গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘নারদে সিবিআই মামলায় এফআইআর–এ নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী সিবিআই–এর আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে দেখা করার পর তদন্ত ও মামলা প্রভাবিত হতে পারে। অবিলম্বে প্রভাবশালী শুভেন্দুর গ্রেফতারি চাই।’ এর পাল্টা শুভেন্দু বলেন, ‘জেলখাটা লোকের কথার জবাব আমি আগেও দিইনি, আজকেও দেব না।’