বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ভারতের ২০ বছর আগে কার্বনমুক্ত হতে চায় সুইজারল্যান্ড, জোর সৌরশক্তিতে

ভারতের ২০ বছর আগে কার্বনমুক্ত হতে চায় সুইজারল্যান্ড, জোর সৌরশক্তিতে

ভারতের ২০ বছর আগে কার্বনমুক্ত হতে চায় সুইজারল্যান্ড, জোর সৌরশক্তিতে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)

২০৭০ সালের মধ্যে ভারতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শূন্যে ঠেকবে। এমনই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনমুক্ত হতে চায় সুইজারল্যান্ড৷ তাই সেখানে পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির প্রসার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷ গ্ল্যারাস আল্পসে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৫০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এক বাঁধে সোলার প্যানেল বসিয়েছে এনার্জি কোম্পানি আক্সপো৷

সুইজারল্যান্ডে জ্বালানির সবচেয়ে বড় উৎস জলবিদ্যুৎ৷ মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগ আসে সেখান থেকে৷ তাই পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে দেশটি ভালো অবস্থায় আছে৷ সুইজারল্যান্ড যেহেতু তাদের চারটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে চাইছে তাই জ্বালানির নতুন উৎসের প্রয়োজন হবে৷ সে কারণে বর্তমানে সৌরশক্তির উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে৷

এনার্জি সায়েন্স সেন্টারের ক্রিস্টিয়ান শাফনার জানান, ‘বায়ুশক্তি, বায়োমাস, সৌরশক্তির মতো পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে আমাদের উন্নতির রেখাটা একেবারে খাড়া৷ কিন্তু তারপরও প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি৷'

বর্তমানে মোট জ্বালানির মাত্র পাঁচ শতাংশ আসছে সৌরশক্তি থেকে৷ শাফনার বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিই ২০৫০ সালের মধ্যে সুইজারল্যান্ডকে কার্বনমুক্ত করতে চায়, তাহলে ঘর গরম রাখার জন্য তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা ভবনগুলো একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ অন্যদিকে আছে পেট্রল, ডিজেল ব্যবহার করা পরিবহন খাত৷ আমাদের এসব জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, যা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷' এক্ষেত্রে সৌরশক্তি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে৷

তবে এর চেয়েও দারুন এক সম্ভাবনা আছে৷ যেমন সিন্থেটিক ফুয়েল, যেটা ভবিষ্যতে কেরোসিনের বিকল্প হতে পারে৷ শাফনার জানান, ‘এখন সীমিত আকারে সিন্থেটিক ফুয়েল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে৷ ভবিষ্যতে কি আরও বড় আকারে উৎপাদনে যাওয়া যাবে, প্রযুক্তি ও আর্থিক বিবেচনায় সেটা কি সম্ভব হবে, এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এখনও আসেনি৷'

বন্ধ করুন