ভয়াবহ ভূমিকম্প তুর্কি ও সিরিয়ায়। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। অন্তত ২১,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভূমিকম্পে। হাজার খানেক বাসিন্দা জখম হয়েছেন। একের পর এক দুর্গতদের উদ্ধার করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। কীভাবে তাঁরা বেঁচে থাকার জন্য, একটু নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য প্রহর গুনেছেন সেকথাই ফিরছে লোকের মুখে মুখে। আর তাঁদের বেঁচে ফেরার সেই কাহিনি যেন নতুন করে প্রাণশক্তি জোগাচ্ছে ধ্বংসস্তূপের মাঝে। এবার রইল তেমন এক কিশোরের কথা যে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছে। এবিসি নিউজে সেই রিপোর্টকে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রায় ৯৪ ঘণ্টা ধরে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়েছিল। আদনান মুহম্মেত করকুট নামে ওই কিশোর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, পরিবারের সঙ্গেই বাড়িতে ঘুমিয়েছিলাম। এমন সময় গোটা বাড়ি যেন কেঁপে উঠল।এরপর কার্যত মৃত্যুগহ্বরে তলিয়ে যায় সে।
তিনি জানিয়েছেন একেবারে আটকে পড়েছিলাম ধ্বংস্তুপের মধ্যে। একফোঁটা জল নেই। বাধ্য হয়েই নিজের প্রস্রাব দিয়ে তেষ্টা মিটিয়েছি। ফোনটাকে প্রতি ২৫ মিনিট অন্তত অ্যালার্ম দিয়ে রাখতাম যাতে ঘুমিয়ে না পড়ি। কিন্তু দুদিন পরে ফোনের ব্যাটারিও ফুরিয়ে গেল।
এদিকে ওই দুর্গতর দাবি, বুঝতে পারছিলাম উদ্ধারকাজ চলছে। কিন্তু তারা যদি আমার কথা শুনতে না পান সেজন্য খুব ভয় লাগত। সবমসয় মনে হয় আমাকে হয়তো কেউ উদ্ধার করবে না। এভাবেই একদিন শেষ হয়ে যাব। কিন্তু চারদিন পরে উদ্ধারকারীরা তার সন্ধান পান। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ করকুট।
বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হয়েছে কিশোরকে। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বক্তব্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভগবানকে ধন্যবাদ। আমি প্রাণ ফিরে পেয়েছি। এটা আমার নতুন জীবন। আপনারা কবে আসবেন সেজন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল অন্য কোনও শব্দ তিনি কি শুনতে পেয়েছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, একটি কুকুর ছিল। তবে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন কুকুরটি কোথায় চাপা পড়ে রয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে।
এদিকে দীর্ঘ ৭৯ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়েছিল ২ বছর বয়সী এক কিশোর। একটি বিল্ডিং ভেঙে পড়ার জেরে আটকে পড়েছিল সে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে ছিল সে। তার সন্ধান পান উদ্ধারকারীরা। এরপর একটি ছোট্ট সুরঙ্গের মাধ্যমে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup