সিরিয়ায় শেষ হল বাশার আল আসাদের দুই যুগের শাসনকালের। এই আববে এবার দেশের ক্ষমতা হস্তান্তরের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ গাজি জালালি। এদিকে প্রেসিডেন্ট আসাদ ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে জালালি বলেন, 'আমি আমার বাড়িতেই আছি। আমি কোথাও পালাইনি। কারণ এটা আমার দেশ।' পাশাপাশি তিনি বলেন, সিরিয়ায় নিরপেক্ষা এবং স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া উচিত। সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী আল-আরাবিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'বর্তমান সময়কাল কীভাবে দেশ পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে বিদ্রোহী প্রধান আবু মহম্মদ আল-গোলানির সাথে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে।' (আরও পড়ুন: নাম উঠল সনিয়া গান্ধীর, কংগ্রেস-সোরোস যোগ নিয়ে আরও বিস্ফোরক বিজেপি)
আরও পড়ুন: ভারতীয় সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় ঐতিহ্যের ধ্বংসের প্রতীক আদিনা মসজিদ, বললেন BJP নেতা
এদিক বিদ্রোহী নেতা মহম্মদ আল জোলানি যোদ্ধাদের বলেছেন, 'সিরিয়ার সরকারি ভবনকে রক্ষা করা এখন তোমাদের দায়িত্ব। এই সব সম্পত্তি সিরিয়ার মানুষের। আর তোমরাই তাদের রক্ষাকর্তা।' এদিকে দামাস্কাসে ইতিমধ্যেই মানুষ পথে নেমেছে। আসাদের বাবা তথা সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হাফেজের মূর্তি ভেঙে ফেলেছে তারা। এদিকে গোটা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে আমেরিকার তরফ থেকে। (আরও পড়ুন: এবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে সরব ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশন, ইউনুসকে লেখা হল চিঠি)
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে হিন্দু মহিলা খুনে সামনে এল ‘চিন্ময়-যোগ’, সরব এপার বাংলার নেতারা
এর আগে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়, দামাস্কাস ছেড়ে অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বাশার আল আসাদ। উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করছেন বিদ্রোহীরা। এই আবহে সিরিয়ার কোনও প্রদেশেই আর আসাদের সরকারের কর্তৃত্ব নেই। প্রসঙ্গত, গত ১৩ বছর ধরে সিরিয়ায় চলছে গৃহযুদ্ধ। এর আগে ২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করেছিল আমেরিকা। পরবর্তী সময়ে আইএস জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ন্যাটো সেখানে অভিযান চালিয়েছিল। (আরও পড়ুন: 'পায়খানা পরিষ্কার করায় কৃতিত্ব…', ৪ দিনে কলকাতা দখলের 'হুংকারের' জবাব তথাগতর)
আরও পড়ুন: ভারতকে অস্থিতিশীল করতে চায় USA, অভিযোগ করে BJP, জবাবে মার্কিন দূতাবাস বলল...
এদিকে বর্তমানে যে দুই সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেগুলি হল - হায়াত তাহরির আল-শাম এবং জইশ আল-ইজ্জা। এর মধ্যে হায়াত তাহরির আল-শাম রাষ্ট্রসংঘ এবং আমেরিকার তালিকায় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। এই জঙ্গি সংগঠনেক যোগ রয়েছে আল-কায়েদার সঙ্গে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, হিজবুল্লা ইতিমধ্যেই দামাস্কাসের বাইরে থেকে তাদের যোদ্ধাদের সরিয়ে নিয়েছে। এই আবহে আসাদের ২৪ বছরের শাসনকাল শেষ হয়ে গেল।