বায়ুদূষণের জেরে কার্যত গোটা উত্তর ভারত পরিণত হয়েছে গ্যাস চ্যাম্বেরে। বৃহস্পতিবারের সকালে দিল্লির ঘুম ভেঙেছে প্রবল ধোঁয়াশার মাঝে। এদিকে, উত্তর প্রদেশের আগরায় তাপমাত্রার ন্যূনতম অঙ্ক ছিল ১৭ ডিগ্রি। তারই মাঝে আগ্রার গর্ব তাজমহল ঢেকে ফেলে ধোঁয়াশা। বায়ুদূষণের ধোঁয়ার সঙ্গে কুয়াশা মিশে এই ধোঁয়াশা হঠাৎই ভ্যানিশ করে দেয় আগ্রার গর্বের তাজমহলকে। ফলে তাজমহলের বাগানে ঢুকলে অনেক গাছগাছালি দেখা গেলেও, সোজা তাকালে আর দেখা যাচ্ছে না তাজমহলকে।
আগ্রার বায়ু দূষণের পরিস্থিতি এদিন সকাল থেকেই মাঝারি অবস্থায় ছিল। আগ্রায় এদিন একিউআই এর অঙ্ক ১৯৩ ছিল। আগ্রার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কুয়াশার ধারা আপাতত আগ্রাকে ছাড়বে না। গভীর কুয়াশা সোমবার পর্যন্ত জড়িয়ে রাখবে আগ্রাকে। মনে করা হচ্ছে, এই তুমুল কুয়াশার সঙ্গে ধোঁয়ার মিশে যাওয়ায় যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তার নেপথ্যে রয়েছে খড় পোড়ানোর ঘটনা। উত্তর ভারতের একটা বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে এই খড় পোড়ানোর রীতি। যা বায়ুদূষণে একটি বড় তাৎপর্যপূর্ণ উপাদান। এই খড় পোড়ানো নিয়ে আইনত জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। সেই জরিমানার অঙ্ক গত সপ্তাহেই বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তবে তারপরও পরিস্থিতি উদ্বেগের হয়ে রয়েছে।
দিল্লিতে বায়ুদূষণের পরিস্থিতি:-
দিল্লিতে বায়ুদূষণের অবস্থা ভয়াবহ। ইতিমধ্যেই একিউআই ৪০০ পার করে গিয়েছে সেখানে। এই ‘একিউআই’ এর মাধ্যমে, বায়ুদূষণের অবস্থা পরিমাপ করা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ দিল্লির আনন্দ বিহারের একিউআই ছিল ৪৬৬। যা 'গুরুতর' বলে বর্ণনা করেছে ‘সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড’। আর্যনগর, অশোক বিহার এবং উজিরপুর হল দিল্লিতে সবচেয়ে খারাপ বায়ুর মান রেকর্ড করা কিছু এলাকা। একিউআই ৪০০ পেরিয়ে যায়, যা গুরুতর অবস্থার বিভাগে পড়ে।
উল্লেখ্য, যে সমস্ত এলাকায় বায়ুর মান খারাপ, সেখানে বেশিক্ষণ বাইরে থাকা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গুরুতর একিউআই-র মাত্রা সুস্থ ব্যক্তিদেরও অসুস্থ করে তুলতে পারে। কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম) বলেছে যে শক্তিশালী বাতাস দূষণকারী ঘনত্ব হ্রাস করতে পারে। এমনই আশা সিএকিউএম-র।