দীর্ঘ কৃষক আন্দোলনের পর প্রত্যাহার করা হয়েছে তিন কৃষি আইন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পরই খুশির হাওয়া বয়ে গিয়েছে দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের মাঝে। পাশাপাশি আশার আলো দেখতে শুরু করেছে কেন্দ্রের আনা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনকারীরাও। কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভেরও আগে ২০১৯ সালের শেষ লগ্নে গোটা দেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বালিয়েছিল সিএএ বিরোধীরা। দিল্লির শাহিনবাগ থেকে কলকাতা বা কেরলের রাস্তায় নেমেছিল মিছিল। কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের পিছু হঠার পর এবার সেই আন্দোলনকারীদের মনোবল বেড়েছে। এই আবহে দেশের অন্যতম বড় মুসলিম সংগঠন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের তরফে এবার সিএএ প্রত্যাহার করার 'বার্তা' দেওয়া হল কেন্দ্রকে।
জামাতের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং কৃষকদের তাদের 'সফল্যের' জন্য প্রশংসা করেছেন। মাদানির অভিযোগ, কৃষকদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। এরকমই চেষ্টা করা হয়েছিল দেশের অন্যান্য সমস্ত আন্দোলনকে দমন করতেও। এই ক্ষেত্রেও কৃষকদের বিভক্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, কিন্তু তারা সব ধরণের ত্যাগ স্বীকার করতে থাকে এবং তাদের অবস্থানে অবিচল থাকে। মাদানি দাবি করেন যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন কৃষকদের কৃষি আইনের প্রতিবাদ করতে অনুপ্রেরিত করেছিল।
এদিকে আমরোহার বিএসপি সাংসদ কুনওয়ার দানিশ আলিও অবিলম্বে সিএএ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। একটি টুইটে এই সাংসদ লেখেন, '৩টি কৃষি আইন বাতিল করার পদক্ষেপকে আমি স্বাগত জানাই। শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় শক্তি এবং তাদের পুঁজিবাদী বন্ধুদের বিরুদ্ধে লড়াই, ত্যাগ ও পরাজিত করার জন্য কৃষকদের ইচ্ছাশক্তিকে আমি অভিনন্দন জানাই।' এরপর তিনি আরও লেখেন, 'এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উচিত, অবিলম্বে সিএএ প্রত্যাহার করে নেওয়া।'