মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। এরই মধ্যে আফগানিস্তানে একের পর এক জেলা দখলে নিতে শুরু করেছে তালিবানরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১৩টি জেলা দখল করেছে তালিবানরা। আফগান সেনা কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি তালিবানদের সামনে। দখল হওয়া জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম হল কান্দাহারের পাঞ্জওয়াই জেলা। কৌশলগত দিক থেকে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। উল্লেখ্য, দুই দিন আগেই কাবুলের কাছে অবস্থিত বাগরাম এয়ার বেস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে আমেরিকা। বাগরাম ঘাঁটি থেকে গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে তালিবান এবং আল-কায়েদার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছিল মার্কিন ও ন্যাটো জোট।
এদিকে তালিবানের দখলে চলে যাওয়া জেলায় নিয়োযিত আফগান সেনারা দেশে ছেড়ে পালিয়ে তাজিকিস্তানে পালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। জানা গিয়েছে দখল হওয়া অধিকাংশ জেলাতেই কোনও লড়াই না হলেও পাঞ্জওয়াইতে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় দুই পক্ষের মধ্যে। জানা গিয়েছে, তাজিক বর্ডার গার্ড বিনা বাধায় আফগান সেনাদের সীমান্ত পার করে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিতে দেয়। অন্তত ৩০০ সেনা সীমান্ত পার করে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পাঞ্জওয়াইয়ের গভর্নর হাসতি মোহাম্মদ স্বীকার করে নেন যে জেলা পুলিশ সদর দফতর এবং গভর্নরের অফিস ভবন দখল করেছে তালিবানরা। এর আগে গত ২২ জুন তালিবান বিভিন্ন প্রদেশের তিনটি জেলাসহ তাজিকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের প্রধান সীমান্ত 'শির খান বন্দর' দখল করে নেয়। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা হস্তক্ষেপের আগে এই এলাকাটি তালিবানদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত ছিল।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সেদেশের ১০০টির বেশি জেলা তালিবানদের দখলে রয়েছে। এর আগে এক মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করা হলে তালেবান ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করবে। পরিস্থিতি যেদিক এগোচ্ছে, তাতে এই রিপোর্ট সত্যি হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এদিকে যে যে জেলা ইতিমধ্যে তাদের দখলে চলে গিয়েছে, সেখানে কঠোর শরিয়া আইন জারি করা হয়েছে।