চুরির অপরাধে চারজনের হাত কেটে নিল তালিবান। আফগানিস্তানের কান্দাহারের আহমদ শাহি স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে ওই চারজনের হাত কেটে নেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে নয়জনকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়। অভিযুক্তদের ৩৫ থেকে ৩৯ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরে তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে আবারও সমালোচনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
গভর্নর অফিসের মুখপাত্র হাজি জায়েদ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের হাত কেটে নেওয়ার পাশাপাশি নয়জনকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। ঘটনার সময় স্টেডিয়ামে ছিলেন তালিবান কর্মকর্তা, ধর্মীয় নেতা, স্থানীয় মানুষজন। আফগান সাংবাদিক তাজুদেন সরোশ টুইটারে স্টেডিয়ামে নাগরিকদের শাস্তি দেওয়ার একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শাস্তির আগে মাঠের ওপর বসে রয়েছেন অভিযুক্তরা। ওই সাংবাদিক নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘এটি কেবলই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। ১৯৯০–এর দশকে তালিবানরা যেভাবে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া শুরু করেছিল, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।’
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মানবাধিকার আইনজীবী এবং আফগান পুনর্বাসন ও শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রীর প্রাক্তন নীতি উপদেষ্টা শবনম নাসিমি। তিনিও তালিবানদের এই নির্মম শাস্তিদানের ছবি শেয়ার করেছেন। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল তালিবান। পুনরায় আফগানিস্তান দখল করার পর এটাই ছিল প্রথম প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড। সংবাদ মাধ্যম দ্য সানের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, শত-শত দর্শক এবং তালিবানের শীর্ষ কর্মকর্তারা ওই মৃত্যুদণ্ডের সময় উপস্থিত ছিলেন। পশ্চিম ফারাহ প্রদেশে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)