আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে এক গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং দখলে নিল তালিবানরা। সেখানে তালিবানি পতাকা উড়তে দেখা গিয়েছে। যদিও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেনি আফগান সরকার। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে যাতে তালিবানি জঙ্গিদের উল্লেখিত পোস্টে বিশ্রাম নিতে দেখা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৩১ অগাস্ট সম্পূর্ণ ভাবে আফগানিস্তান ছেড়ে আমেরিকা চলে যাওয়ার কথা। তবে তার বহু আগে থেকেই আফগানিস্তান দখলে নিতে শুরু করেছে তালিবানরা। এক মার্কিন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আফগানিস্তানে থেকে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহর করার ৬ মাসের মধ্যে কাবুল তালিবানি দখলে যাবে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন তা মানতে নারাজ। তবে বাইডেনকে অকপ্রকার মিথ্যে প্রমাণিত করেই আফগানিস্তানজুড়ে ধ্বংসলীলা শুরু করেছে তালিবানরা।
এর আগে চিন-আফগানিস্তান সীমান্তে একমাত্র রাস্তা তালিবানিদের দখলে এসেছিল। এবার পাক-আফগানিস্তান সীমান্তে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সেনাঘাঁটি স্পিন বলডাক দখলে নিল তালিবান। উল্লেখ্য, এই চেকপোস্ট দিয়ে করাচি বন্দরের উদ্দেশে গাড়ি যায় কান্দাহার হয়ে। এই একই পথে করাচি থেকে বন্দরের মালপত্র নিয়ে ফেরা যায় আফগানিস্তানে। আফগানিস্তানে কোনও বন্দর নেই। তাই বাণিজ্যিক কারণে এই ঘাঁটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের চমন এবং আফগানিস্তানের ওয়েশ শহরের মধ্যে অবস্থিত এই ঘাঁটি। এখানে একটি 'ফ্রেন্ডশিপ গেট' রয়েছে। পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছে, সেই গেটে এখন তালিবানি পতাকা উড়ছে।
তালিবান ইতিমধ্যে দেশের বেশ কিছু জেলা দখল করে নিয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দাদের অনুমান, আমেরিকা পুরোপুরি সেনা সরিয়ে নিলে, কয়েক মাসের মধ্যে দেশের সরকারকে হার মানতে হবে তালিবানের কাছে। তাহলে কি ফের তালিবান শাসনের অধীনে চলে যাবে আফগানিস্তান? আন্তর্জাতিক মহলে এখন এটাই আশঙ্কা।