তালিবানের অনুমান শিশুর বাবা প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্য। আর শুধুমাত্র সেই সন্দেহের বশেই নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ওই শিশুকে। অভিযোগ এমনটাই। আফগানিস্তানের পঞ্জশির এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সংবাদপত্রের তরফে টুইট করে গোটা ঘটনা জানানো হয়েছে। একেবারে রক্তের মধ্যে শুয়ে রয়েছে নিষ্পাপ শিশুর দেহ। তার চারপাশে আরও কয়েকজন শিশুকে কাঁদছে দেখা যাচ্ছে। একেবারে শিউরে ওঠা ছবি। পঞ্জশিরের পর্যবেক্ষকের রিপোর্ট অনুসারে, শিশুটির বাবা প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্য। সেই সন্দেহের বশেই শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। আর এই ঘটনা আরও একবার প্রকাশ্য়ে এনেছে তালিবানের আসল কদর্য রূপকে। ভয়াবহ যে রূপ দেখে চমকে উঠেছে গোটা বিশ্ব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে নানা মোড়কে নৃশংসতাকে বার বার ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে তালিবান শাসক। কিন্তু বাস্তবে শিশুকেও রেয়াত করে না তালিবান।
তবে শুধু এই একটি ঘটনা নয়, একের পর এক তালিবানের নৃশংসতার ছবি সামনে আসছে ক্রমশ। হয়তো এই নৃশংসতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই চলন্ত বিমানের ডানায় চেপে বসতেও দ্বিধা করেননি আফগান নাগরিকরা। কয়েকদিন আগে আফগানিস্তানের হেরাট প্রদেশেও দেখা গিয়েছে তালিবানের এই নৃশংসতার নজির।
এক ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে অপহরণের অভিযোগে চারজনকে খুন করে হেরাট স্কোয়ারে ঝুলিয়ে দিয়েছিল তালিবান। শিক্ষা দিতেই নাকি তালিবানের এই উদ্যোগ। কিন্তু সভ্য সমাজে আদৌ কী এই প্রথা গ্রহণযোগ্য সেই প্রশ্নও উঠছে। ক্রেনে ঝুলন্ত দেহে তালিবান লিখে দিয়েছিল, অপহরণকারীদের এভাবেই শাস্তি দেওয়া হবে। তার কাছে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গল্প করছে তালিবান যোদ্ধা। এই ছবিও ফের আরও একবার আয়নার সামনে দাঁড় করিয়েছে তালিবানকে।