মহিলা অভিনেতাদের অভিনীত কোনও নাটক আর দেখা যাবে না আফগানিস্তানের টিভিতে। আফগানিস্তানের তালিবান কর্তৃপক্ষ রবিবার একটি নতুন 'ধর্মীয় নির্দেশিকা' জারি করে জানিয়ে দিল যে দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলি মহিলা অভিনেতাদের অভিনীত কোনও নাটক বা শো আর দেখানো না হলেই ভালো হয়।
আফগানিস্তানের প্রচারমাধ্যমের প্রতি এই ধরনের নির্দেশিক এর আগে কখনও দেয়নি তালিবান। তালিবান সরকারের জারি করা বির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যাতে, নারী টেলিভিশন সাংবাদিকরা প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় ইসলামিক হিজাব পরেন।
তালিবানি মন্ত্রণালয় চ্যানেলগুলিকে এমন চলচ্চিত্র বা অনুষ্ঠান সম্প্রচার না করার জন্য বলেছে যেখানে নবী মোহাম্মদ বা অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিত্ব দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ইসলাম ও আফগান মূল্যবোধের পরিপন্থী চলচ্চিত্র বা অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তালিবান মুখপাত্র হাকিফ মোহাজির এই বিষয়ে বলেন, 'এগুলো নিয়ম নয় বরং ধর্মীয় নির্দেশিকা।'
নতুন এই নির্দেশনা রবিবার গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলিতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই বারে তারা আরও পরিমিতভাবে শাসন করবে বলে দাবি করেছিল তালিবান। তবে তা সত্ত্বেও, তালিবান ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলারা কী পরতে পারে তার নিয়ম চালু করেছে। তাছাড়া সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও বেশ কিছু আফগান সাংবাদিককে মারধর ও হয়রানি করেছে।
যখন ইসলামি কট্টরপন্থীরা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শাসন করেছিল, তখন কথা বলার মতো কোনও আফগান মিডিয়া ছিল না। তালিবান টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য বিনোদনকে নিষিদ্ধ করেছিল। তবে ২০ বছর পর সময় বদলেছে। গত দুই দশকে পশ্চিমা দেশের সাহায্যে আফগানিস্তানে বহু চ্যানেল ও রেডিয়ো স্থআপন হয়েছে। এই আবহে তালিবানি এই 'ধর্মীয় নির্দেশিকা' কীভাবে মানা হয়, সেদিকে তাকিয়ে প্রগতিশীল আফগানরা।