কৌতুকশিল্পী হিসাবে আফগানিস্তানে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন ফজল মহম্মদ ওরফে 'খাসা জওয়ান'। সম্প্রতি তাঁকে গাছে ঝুলিয়ে রাখার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর ২ দিন পরেই খাজা জওয়ানকে তারা খুন করেছে বলে জানাল তালিবান।
ওই ব্যক্তির আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় একটি গাড়ির পেছনে বসে ওই কৌতুকশিল্পীকে বেধড়ক মারধর করছে তালিবান জঙ্গিরা। আফগান সমাজকর্মী ফাজিলা বালোচ এই ভিডিয়ো টুইট করেন। তিনি জানান, 'ইসলামে মানুষকে হাসানো হারাম। সেই কারণ দেখিয়ে তালিবানরা নির্মমভাবে হত্যা করল এই নিস্পাপ কৌতুকশিল্পীকে। তাঁকে হত্যার আগে শেষ মুহূর্তের ভিডিয়ো এটি।'
বৃহস্পতিবার তালিবান জঙ্গি জাবিউল্লা মুজাহিদ জানায়, 'ফজল মহম্মদ কৌতুকশিল্পী ছিলেন না। আমাদের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। পালোনোর সময়ে ওঁকে ধরা হয়। আমাদের সদস্যরা বাধ্য হয় গুলি করে মারতে।'
জানা গিয়েছে, তালিবান জঙ্গিরা নিজের বাড়ি থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। ফজলের সহকর্মী মহম্মদ জানান, তালিবানের বিরুদ্ধে কোনও লড়াই করেননি ওই কৌতুকশিল্পী।
আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরেই কৌতুক এবং বিনোদনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান। এমনকি সিনেমা দেখা বা গান শুনতে গিয়ে ধরা পড়লেও শাস্তি মৃত্যু। মহিলাদেরও বাড়ি থেকে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান।
সম্প্রতি বাড়ি বাড়ি থেকে তালিবানদের মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। তালিবানরা ঘোষণা করেছে ১৫-র উর্ধ্বে এবং ৪৫-এর কম অবিবাহিত এবং বিধবা মহিলাদের তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। তাদের 'যোদ্ধাদের' সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তাদের পাঠানো হবে পাকিস্তানে। কিন্তু এই বিয়ে যে আসলে যৌনদাসী তৈরিরই সামিল তা বলাই বাহুল্য।