সম্প্রতি পাকিস্তানের তরফে তালিবান প্রশাসনকে একটি চিঠি লিখে মাসুদ আজহারকে গ্রেফতার করার ‘অনুরোধ’ জানানো হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল, জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান আফগানিস্তানের পূর্বে কোনও এক প্রদেশে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তবে পাকিস্তানের সেই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিল তালিবান। তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ পাক দাবি অস্বীকার করে বলেন, ‘জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহার আসলে পাকিস্তানে আছেন।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর নেতা এখন আফগানিস্তানে নেই। এটি এমন একটি সংগঠন যা পাকিস্তানেই থাকতে পারে। এই সংগঠনের নেতা আফগানিস্তানে নেই এবং আমাদের কাছে এই নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়নি। খবরেই এই বিষয়ে শুনেছি। আমাদের প্রতিক্রিয়া হল, এই বিষয়টা সত্য নয়।’
প্রসঙ্গত, এফএটিএফ-এর ‘ধূসর তালিকা’ থেকে বের হতে পাকিস্তানকে নিজেদের ‘জঙ্গি বিরোধী’ ভাবমূর্তি তৈরি করতে হবে। এদিকে পশ্চিমা দেশগুলি মাসুদকে নিয়ে ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধি করছে পাকিস্তানের উপর। এই আবহে পাকিস্তান নাকি তালিবানের শরণাপন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, এই পাক জঙ্গিকে ১৯৯৯ সালে ভারত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। কাঠমান্ডু থেকে একটি বিমান অপহরণ করে সেই সময় কান্দাহারে নিয়ে গিয়ে ভারত সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল জঙ্গিরা। তখন তালিবানও তাদের মদত দিয়েছিল। এহেন তালিবানকেই এবার মাসুদকে জেলবন্দি করতে বলল পাকিস্তান। ইসলামাবাদের তরফে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি লেখা হয় তালিবানের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সেই চিঠি লেখা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মাসুদ এবং তার ভাইকে আন্তর্জাতিক মহলের সামনে ‘ত্যাজ্য’ করেছে পাকিস্তান। তবে তালিবান পাকিস্তানের দাবি খারিজ করে পালটা অস্বস্তিতে ফেলল ইসলামাবাদকে।