আফগানিস্তানে নজর টিকিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। সেদেশে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া পাকিস্তান। এই আবহে তালিবানকে সমর্থন করছে পাকিস্তান। বহু বছর ধরেই এই কাজ করে এসেছে পাকিস্তান। তবে এবার এক ধাপ এগিয়ে তালিবানের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই তালিবানকে না জানিয়ে কাবুলে পৌঁছেছিলেন আইএসআই প্রধান ফইজ হামিদ। আর সেখান থেকে ফিরেই এবার চিন, রাশিয়া ছাড়াও ইরানের মতো এশিয়ার পাঁচটি দেশের গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফইজ। এর আগে পাকিস্তান, চিন, ইরান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীরাও বৈঠকে বসেছিলেন।
আইএসআই প্রধান কাবুল থেকে ফিরতেই নয়া সরকারের ঘোষণা করল তালিবান। এদিকে পঞ্জশিরে পাকিস্তানের ড্রোন হামলার কারণে সুবিধা হয় তালিবানের। এই পরিস্থিতিতে পাক গোয়েন্দা প্রধানের এহেন বৈঠক বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পাকিস্তান চাইছে তালিবান সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় যাতে হক্কানিরা থাকে। হক্কানে গোষ্ঠীকে দীর্ঘদিন ধরেই আইএসআই-এর 'প্রক্সি' বাহিনী বলে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এর আগে পাকিস্তানের ইশারাতেই কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসের উপর হামলা চালিয়েছিল হক্কানি গোষ্ঠী। নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা এহেন হক্কানি গোষ্ঠীর সিরাজউদ্দিন হক্কানিকে তালিবানি মন্ত্রী করে পাকিস্তানে আদতে সেদেশের ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখতে চাইছে বলে আশঙ্কা অনেকেরই।
এদিকে তালিবান-পাকিস্তান বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে বলে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি একটি ভয়েস ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে যাতে দাবি করা হচ্ছে যে তালিবান নেতা তথা তালিবান সরকারের ডেপুটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোল্লাহ ফজেল আখুন্দ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে আখুন্দ বলছেন, 'পাকিস্তান সব শেষ করে দিল। আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নষ্ট করে দিয়েছএন আইএসআই প্রধান হমিদ ফইজের কাবুল সফর। আফগানিস্তান ফের একটি যুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে।'