শত্রু দেশকে টাকা পাঠিয়ে এখন মাথা চাপড়াচ্ছে আফগানিস্তানের তালিবানি শাসকরা। ভুল করে তাজিকিস্তানে তাদের দূতাবাসের অ্যাকাউন্টে অর্থ ট্রান্সফার করল তালিবান। কিন্তু এখন তাজিকিস্তান এই অর্থ ফেরত দিতে অস্বীকার করছে। আদতে তাজিকিস্তান তালিবানের কঠোর সমালোচক। সেদেশে অবস্থিত দূতাবাসও তালিবানি সরকাকে মেনে নেয়নি। সেখানে আফগানিস্তানের কার্যকরী রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমরুল্লাহ সালেহকে মান্যতা দেওয়া হয়।
দুশানবে ভিত্তিক ‘আভেস্তা’ নামক একটি সংবাদ ওয়েবসাইট কয়েকদিন আগে রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি করে যে তালিবান তাজিকিস্তানে অবস্থিত আফগান দূতাবাসের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলার (৬ কোটি টাকার বেশি) পাঠিয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অর্থ আদতে স্থানান্তর করার কথা ছিল আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকারের।
এদিকে তালিবানের পাঠানো এই অর্থ খরচ করে তাজিকিস্তান সরকার তাদের দেশে শরণার্থী শিশুদের জন্য একটি স্কুল তৈরি করছে। যদিও যেই চুক্তি অনুযায়ী এই অর্থ তাজিকিস্তানকে দেওয়া হয়, তা খারিজ হয়ে যায় আফানিস্তানের কাবুল দখলের সঙ্গে সঙ্গে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এই টাকা আফগানিস্তানের তালিবানি সরকার পাঠিয়েছিল তাজিকিস্তানে। এদিকে নভেম্বরে তালিবানি সরকার অর্থাভাবে ভুগতে থাকে। তখন তাজিকিস্তান সরকারকে দেওয়া সেই টাকা ফেরত চায় তালিবান। যদিও সেই সময় তাজিকিস্তান সেই টাকা ফের দিতে অস্বীকার করে।