তালিবান আছে তালিবানেই! কট্টরপন্থী ইসলামিক এই গোষ্ঠী আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর দাবি করেছিল যে মহিলাদের কাজ করা বা শিক্ষার অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে। তাই নয়, দাবি করা হয়েছিল, গত সরকারে কাজ করা সকলকে ক্ষমা করা হচ্ছে এবং তাঁদের কাজে ফেরার 'নির্দেশ' দেওয়া হয়। তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় মার্কিন সেনা বা বিগত আফগান সরকারের হয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের খোঁজ লাগাতে শুরু করে। মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশনামা পাঠানো হয় তাঁদের বাড়িতে। মহিলাদের অফিস থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তালিবানের শীর্ষ নেতারাও আপাতত মহিলাদের বাড়িতে থাকতে বলেন। কারণ তালিবানি যোদ্ধাদের 'আদব কায়দা' জানা নেই। সেই 'বেয়াদব' তালিবানি জঙ্গির হাতেই এবার প্রাণ খোয়ালেন প্রাক্তন আফগান সরকারের অধীনে কাজ করা এক মহিলা পুলিশকর্মী।
জানা গিয়েছে আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশে তালিবানি জঙ্গিরা স্বামী, সন্তানদের সামনেই গুলি করে খুন করে খন করল তালিবানি জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে মৃত পুলিশকর্মীর নাম বানু নিগারা। তিনি ৬ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। রাত দশটার সময় নিগারার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে খুন করা হয় বলে টুইট করে জানান আফদান সাংবাদিক বিলাল সারওয়ারি।
এদিকে নিগারার মৃত্যুর সঙ্গে তাদেরকোনও যোগ নেই বলে জাবি করেছে তালিবান। এই বিষয়ে তালিবানি মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। মুজাহিদ ফের একবার দাবি করেন যে বিগত সরকার বা পশ্চিমা দেশের হয়ে কাজ করা সবাইকে 'সাধারণ ক্ষমা' দিয়েছে তালিবান। যদিও তাঁর এই বক্তব্য এবং তালিবানি জঙ্গিদের কার্যকলাপের মধ্যে কোনও সামঞ্জস্য নেই। এর আগে এক লোকশিল্পী এবং কৌতুক শিল্পীকে খুন করার ঘটনায় তালিবানের নাম জড়ায়।