উপমহাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বার্তা দিয়েছিলেন তালিবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা স্ট্যানেকজাই। পাশাপাশি বলেছিলেন কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও ভাবে নাক গলাবে না তালিবান। তবে তালিবান সেই অবস্থান থেকে ডিগবাজি খেল। সম্প্রতি বিবিসি ঊর্দু সার্ভিসে এক সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় তালিবান মুখপাত্র সুহেল শহিন দাবি করেন, 'মুসলিম হওয়ার দরুণ আমাদের কাশ্মীর, ভারতের মুসলিদের হয়ে আওয়াজ তোলার অধিকার রয়েছে।'
তবে তালিবানি নেতা সুহেল দাবি করেন যে কোনও নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে হাতিয়ার তুলে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। এর আগে বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রীর মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, ভারতের প্রাথমিক লক্ষ্য হল আফগানিস্তানের মাটিতে যাতে কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ না হয়, তা নিশ্চিত করা।
আফগানিস্তানে তালিবানের পুনরুত্থানের পর থেকেই কার্যত এই জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে বিশ্বদরবারে তাবেদারি করছে চিন, পাকিস্তানের মতো ভারত বিরোধী দেশ। এই অবস্থায় এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালিবানের পুনরুত্থান নিয়ে সরকারি ভাবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি ভারত। তবে এখনই যে তালিবানি সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছে দিল্লি।
এদিকে তালিবান ভারতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক অটুট রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন তালিবানের শীর্ষ নেতা স্ট্যানেকজাই। এই আবহে কাতারে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তালিবানি নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় স্পষ্ট করেছেন যাতে আফগানিস্তানের মাটি থেকে ভআরত বিরোধী কোনও কার্যকলাপ না হয়। পাশাপাশি আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয় এবং আফগান সংখ্যাঘুদের যাতে দেশ ছাড়তে দেওয়া হয়, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়।