মাঝে তালিবান সূত্রেই জানা গিয়েছিল যে আখুন্দজাদা নাকি মারা গিয়েছেন। এদিকে সেই সম্ভাবনা প্রবল হতে থাকে জনসমক্ষে আখুন্দজাদার দেখা না মেলায়। তালিবানের কাবুল দখলের পর বেশ কয়েকমাস কেটে গেলেও তালিব শীর্ষ নেতার মুখ দর্শন করতে পারেনি কেউ। প্রকাশ হয়নি কোনও ছবি বা ভিডিয়ো। এই আবহে জানা গেল যে গত রবিবার নাকি কান্দাহারে তালিবান অনুগামীদের সামনে আসেন তালিবানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।
আখুন্দজাদাকে 'আমির উল মুমেনিন' আখ্যা দিয়ে একটি অডিয়ো বার্তা প্রকাশ করে তালিবান যদিও আখুন্দজাদার কোনও ছবি বা ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে দাবি করা হয়েছিল, পাক সেনা পরিচালিত এক আত্মঘাতী হামলাতে ২০২০ সালে মৃত্যু হয় আখুন্দজাদার। তবে সেই জল্পনা উড়িয়ে অনুগামীদের সামনে আসেন আখুন্দজাদা। তবে নিরাপত্তা বলয়ে থাকা আখুন্দজাদার কোনও ছবি বা ভিডিয়ো প্রকাশ না পাওয়ায় রহস্য এখনও বজায় রয়েছে।
২০১৬ সালে মোল্লা আখতার মনসুর এক ড্রোন হামলায় নিহত হলে তালিবান প্রধান হন আখুন্দজাদা। এই আবহে তালিবান আফগানিস্তান দখল করার পর সরকারের সম্ভাব্য তালিকায় বারংবার উঠে আসে আখুন্দজাদার নাম। তবে জল্পনা তৈরি হলেও সরকার পরিচালনায় দেখা যায়নি আখুন্দজাদাকে। তারপরই আরও তীব্র হয় আখুন্দজাদার মৃত্যুর জল্পনা।
২০১৬ সাল থেকে তালিবানের যে কোনও রাজনৈতিক, সামরিক বা ধর্মীয় ক্ষেত্রে শেষ কথা বলতেন কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত আখুন্দজাদা। মহিলাদের বিষয়েও চরমপন্থা অবলম্বনের পক্ষপাতী ছিল এই তালিব নেতা। কোনওদিনই বিদেশ যায়নি আখুন্দজাদা। এমনকি আন্তর্জাতিক বিষয়ে কোনও জ্ঞানই তার নেই বলেই জানা যায়। আখুন্দজাদার প্রকাশিত অডিয়ো বার্তাতেও কোনও রাজনৈতিক বিষয় ছিল না। বরং অনুগামীদের উদ্দেশে ধর্মীয় বার্তা দিতেই শোনা যায় আখুন্দজাদাকে।