একেই বলে তালিবানি। আফগানিস্তানের মন্ত্রকের তরফে বাদ্যযন্ত্র ও অন্যান্য উপকরণ জ্বালিয়ে দিয়ে বনফায়ারের আয়োজন করা হল। কিন্তু কেন এমন তালিবানি সিদ্ধান্ত?
পূণ্য প্রচার ও পাপ রোধের মন্ত্রকের প্রধান আজিজ আল রেহমান আল মুহাজির জানিয়েছেন, মিউজিকে নৈতিক অনিয়ম বাড়িয়ে দেয়, আর এসব বাজালে যুব সমাজের মধ্য়ে অবক্ষয় তৈরি হয়।
মূলত তালিবানি আফগানিস্তানে প্রকাশ্য়ে গান বাজনা করা যায় না। সেকারণেই এবার গান বাজনা করার উপকরণগুলিকে জ্বালিয়ে দেওয়া হল। দাউ দাউ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল প্রিয় বাদ্যযন্ত্রকে। শিল্পের উপরকরণকে জ্বালিয়ে দেওয়া হল।
হাজার হাজার ডলারের বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শহরে বিভিন্ন বিয়ে বাড়ি থেকে এগুলিকে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
তার মধ্যে গিটার, তবলা, হারমোনিয়ামও ছিল। কয়েকটি মাইকও ছিল। সেগুলিও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। একেবারে তালিবানি পদক্ষেপ। দমন পীড়নের একেবারে চূড়ান্ত। ওখানে হিজাব ছাড়া মহিলাদের বের হওয়াটাও নিষেধ। এমনকী স্কুলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে নারীরা যেতে না পারে তার ব্যবস্থাও আছে। তারা পার্কে, খেলার মাঠে, জিমেও যেতে পারেন না। এমনকী গত সপ্তাহে প্রচুর বিউটি পার্লারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এসব করা নাকি উচিত নয়। আসলে এসবই হল তালিবানি নমুনা। নারীদের কার্যত খাঁচায় বন্দি রাখার কৌশল তালিবানিদের।
২০২১ সালের অগস্ট মাসে তালিবান আফগানিস্তান দখল করে। এরপর থেকে চরম দমনপীড়ন। নারীদের আলাদা করে স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। এবার বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে বনফায়ার। ভয়াবহ ছবি দেখল গোটা বিশ্ব। কার্যত শিউরে ওঠে ছবি।