তামিলনাড়ুতে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) রাজ্য সভাপতি কে আর্মস্ট্রংকে। সেই হত্যার ঘটনায় অন্তত আট সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার চেন্নাইয়ে কে আর্মস্ট্রংকে কুপিয়ে হত্যা করে ছয় সদস্যের একটি চক্র। দুষ্কৃতী দলটি পেরাম্বুরে আর্মস্ট্রংয়ের বাড়ির কাছেই এই হামলা চালায়। আক্রমণের পর গুরুতর জখম অবস্থায় আর্মস্ট্রংকে সেখানে ফেলে রেখেই পালায় আক্রমণকারীরা। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় চেন্নাই কর্পোরেশনের প্রাক্তন কাউন্সিলরের। (আরও পড়ুন: নয়া ইতিহাস ব্রিটিশ সংসদে, এবার হাউজ অফ কমনে যাচ্ছেন কতজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত?)
আরও পড়ুন: হাথরসে ভক্তদের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন 'ভোলে বাবা', বললেন...
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্য নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি বাজেট ডিভিশনের, বাড়তি লক্ষ্মীলাভ হবে?
এই বিষয়ে চেন্নাইয়ের অতিরিক্ত কমিশনার (উত্তর) আসরা গর্গ সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ ১০টি দল গঠন করেছে। তিনি বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত আটজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছি। এটা প্রাথমিক তদন্ত। সুতরাং কিছুদিন পরে এই হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত আরও তথ্য এবং প্রেক্ষাপট প্রকাশ্যে আসবে। তখন গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে।' এদিকে পুলিশ কর্তা জানান, আর্মস্ট্রংয়ের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে 'দুই থেকে তিনটি কারণ' থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে তদন্ত জারি আছে। আটক ৮ জনকে জেরা করে এই বিষয়ে আরও বিশদ তথ্য বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: এবার নিজেকে 'কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা' বললেন জো বাইডেন, নয়া বিতর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট
এদিকে, আর্মস্ট্রংয়ের হত্যার প্রতিবাদে চেন্নাইয়ে বিক্ষোভ দেখান বিএসপি কর্মী-সমর্থকরা। চেন্নাইয়ের পুনামাল্লি হাই রোডে বিএসপি কর্মী ও সমর্থকরা রাজীব গান্ধী সরকারি হাসপাতালের বাইরে রাস্তা অবরোধ করেন। এর জেরে ট্র্যাফিক জ্যাম তৈরি হয়। উল্লেখ্য, রাজীব গান্ধী সরকারি হাসপাতালেই প্রয়াত বিএসপির রাজ্য সভাপতি কে আর্মস্ট্রংয়ের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তামিলনাড়ু সরকারের প্রতি তাদের আস্থা নেই। এই আবহে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে তারা। সঙ্গে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের পদত্যাগও চেয়েছেন তাঁরা। এদিকে রাজ্য সভাপতির হত্যার ঘটনার কড়া নিন্দা জানান উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। তিনি দোষীদের শাস্তির দাহি তোলেন। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে চেন্নাই পুরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন আর্মস্ট্রং। পেশায় আইনজীবী আর্মস্ট্রং এরপরের বছরই দলের রাজ্য সভাপতি হয়েছিলেন। পরে ২০১১ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কোলাথুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ভোটে জিততে না পারলেও বেশ সাড়া ফেলেছিলেন তিনি।