আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে আনন্দে মেতেছে কমলা হ্যারিসের দাদুর জন্মস্থান তামিল নাডুর তিরুভারুর জেলার থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রাম। বাজি ফাটিয়ে, মিষ্টি বিতরণ করে, বাড়ির সামনে সুদৃশ্য আলপনা এঁকে ঘরের মেয়ের জয় উদযাপন করছেন গ্রামবাসী।
স্থানীয় গ্রামপ্রধান আরুলমোঝি সুধাকর জানান, ‘ওঁর এই জয় গ্রামের ছেলেমেয়েদের উদ্বুদ্ধ করেছে। এবার আমি আমার ১১ বছরের ছেলেকে বলতে পারব, আমাদের এই ছোট গ্রাম থেকেও কত দূর পর্যন্ত সফল হওয়া যায়।’
গত অগস্ট মাসে জো বাইডেন তাঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী দৌড়সঙ্গীর নাম ঘোষণা করার পরেই কমলার নামে গ্রামের ধর্মসাস্থ মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। ২০১৪ সালে এই মন্দিরে কমলার নামে ৫,০০০ টাকা দান করেছিলেন তাঁর চেন্নাইবাসী মামি।
বর্তমানে দিল্লি নিবাসী কমলা হ্যারিসের সেই মামি ও মেসোমশাই গোপালন বালাচন্দ্রন আগামী জানুয়ারি মাসে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনাও করেছেন।এর আগে ২০১৭ সালে তাঁর সেনেটর পদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও তাঁরা উপস্থিত ছিলেন।
আমেরিকায় পাকাপাকি বসবাসের জন্য চেন্নাই থেকে রওনা হয়েছিলেন কমলা হ্যারিসের মা শ্যামলা গোপালন। চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করলেও শ্যামলার বাবা জন্মেছিলেন থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামে। এখানে কখনও পা না রাখলেও ছুটিতে চেন্নাইয়ের বেসান্ত নগরের বাড়ি ও সৈকত সংলগ্ন এলাকার কথা প্রায়ই রোমন্থন করেন হবু মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
কমলা হ্যারিসের সাফল্যে গর্বিত তামিল নাডুর রাজনৈতিক মহলও। এই বিষয়ে টুইট করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এদাপ্পাই পালানিস্বামী। ডিএমককে নেতা এম কে স্তালিন টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছে হ্যারিসকে। বিশেষ করে তামিল বংশোদ্ভূত এক ভারতীয়কে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে আমেরিকার মানুষ নির্বাচিত করায় তিনি যে ‘বিশেষ ভাবে আনন্দিত,’ সে কথাও জানিয়েছেন স্তালিন।