২০২২ এ স্পেস স্টেশন সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে চিন। চলতি বছরের মধ্যে ৪০ টি উৎক্ষেপণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চিন এই স্পেস স্টেশনের দিকে এগিয়ে চলেছে। এই উৎক্ষেপণগুলির মধ্যে কিছু মানুষ নির্ভর যানও রয়েছে।
এই বছরে দুটি শেনঝও ক্রিউড অভিযান ছাড়াও দুটি কার্গো স্পেসক্রাফ্ট নিয়ে উদ্যোগ থাকছে। এছাড়াও নির্মিয়মান এই স্পেস স্টেশনে বাড়তি দুটি মডিউলের খবর জানিয়েছে জিনহুয়া নিউজ এজে। এই যাবতীয় তথ্যের বিষয়ে সাম্প্রতিককালে চিনের এয়রোস্পেস সায়ান্স অ্যান্ড টেকনোলজি কর্পোরেশন সকলকে অবহিত করেছে। স্পেস স্টেশন সম্পর্কিত অন্যান্য মিশনের মধ্যে রয়েছে এক্সট্রাভেহিকুল্য়ার অ্যাক্টিভিটিস এবং স্পেসক্রাফট রিটার্ন। এছাড়াও লংমার্চ সিক্স এ কেরিয়্যার রকেটের প্রথমবার অভিষেক ঘটবে ২০২২ সালে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে চিন পাথর ও মাটির নমুনা নিয়ে এসেছে। এছাড়াও মহাকাশ বিজ্ঞানে কিছু তাক লাগানো অগ্রগতি দেখেছে চিন। সেদেশের তরফে মঙ্গলে ছয় চাকার রোবটকে আবতরণ করানো হয়েছে। এছাড়াও ২০১৯ সালে চাঁদের প্রান্তরে চিন একটি ক্রাফ্টকে অবতরণ করিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নির্মিয়মান এই স্পেসস্টেশন তৈরি করার পর চিন টেক্কা দিতে পারে দুই দশক পুরনো ইন্টারন্যাশনাল স্পেশ স্টেশনকে। যার নেতৃত্ব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেদিক দিয়ে কূটনৈতিক পথেও চিন খানিকটা এগিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
ইতিমধ্যেই এই নির্মিয়মান স্পেস স্টেশন একটি কার্গো স্পেসশিপকে নিয়ে কার্যকরী ফল পেয়েছে। সেখানে বড় একটি রোবোটিক আর্ম দিয়ে কার্গো স্পেসশিপকে ঘোরাফেরা করানোর কাজও সফলভাবে হয়েছে। এদিকে, এই সাফল্যের কথা জানিয়েছে চিনের ম্যানড স্পেস ইনঞ্জিনিয়ারিং অফিস। রোবটিক আর্মের সহযোগে এই উদ্যোগ প্রথমবার নেওয়া হয় বৃহস্পতিবার সকালে। আর তৎক্ষণাৎ হাতে আসে সাফল্য। আর এই সাফল্যের সঙ্গেই এমন এক স্পেস স্টেশনের নির্মাণ এক বড় লক্ষ্যের দিকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে চিনকে।