বিজেপি শাসিত রাজ্যে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করার জন্য বুলডোজার চালিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এনিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এইধরনের পদক্ষেপকে নৈরাজ্য বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, নৈরাজ্যের মাধ্যমে ন্যায়বিচার করা যায় না। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের একটি থানায় হামলার পরেই পুলিশ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শাহজাদ আলির বাংলো ভেঙে দেয়। তার পরেই বিজেপির সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। তার প্রেক্ষিতেই বিজেপি শাসিত রাজ্যে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মল্লিকার্জুন।
আরও পড়ুন: ‘আপনি ওনাকে বরখাস্ত করুন’, তৃণমূলকে সমর্থন করে শমীকের বিরুদ্ধে সুর চড়ান খাড়গে
এক্স পোস্টে কংগ্রেস সভাপতি লিখেছেন,‘কারও বাড়ি ভেঙে দেওয়া এবং তাদের পরিবারকে গৃহহীন করা উভয়ই অমানবিক এবং অন্যায়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বারবার সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা গভীর উদ্বেগজনক। আইনের শাসনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত সমাজে এই ধরনের কাজের কোনও স্থান নেই।’
কংগ্রেস প্রধান আরও লেখেন, যে নৈরাজ্যের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ন্যায়বিচার করা যায় না। অপরাধের বিচার করা উচিত আদালতে, সরকারের মাধ্যমে নয়। তিনি লেখেন, ‘কংগ্রেস দল বিজেপি রাজ্য সরকারগুলির সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘনের জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। নাগরিকদের মধ্যে ভয় তৈরি করার কৌশল হিসাবে বুলডোজার ব্যবহার করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভোপালে পুলিশ অফিসারদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। তাতে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে শাহজাদকে চিহ্নিত করার পরেই তাঁর বাংলো ভেঙে ফেলা হয়। তারপরেই এমন প্রতিক্রিয়া কংগ্রেস প্রধানের।
মধ্যপ্রদেশে কী ঘটেছিল?
মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার সিন্নার তালুকার শাহ পাঁচালে গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রামগিরি মহারাজ নবি হযরত মহম্মদ এবং ইসলাম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর রামগিরি মহারাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মধ্যপ্রদেশের কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে সংখ্যালঘু জনতা। তারপরই কংগ্রেস নেতার বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়।
এর আগে, রাজস্থানে এক সংখ্যালঘু ছাত্রের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মার সরকার অভিযুক্ত ওই ছাত্রের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। জানা যায়, ওই ছাত্র একজন নাবালক। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৬ অগস্ট। দুই ছাত্রের মধ্যে হোমওয়ার্কের কপি চাওয়া নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। এরপর ওই ছাত্র অন্যজনকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা করে। তারপরেই হিন্দু গোষ্ঠী এবং বিজেপি নেতারা বুলডোজার পদক্ষেপের দাবি জানায়। পরে উদয়পুর জেলা প্রশাসন অভিযুক্তের পরিবারের ভাড়া বাড়িটি ভেঙে দেয়। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, বাড়িটি বেআইনিভাবে তৈরি হওয়ার কারণে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।