হজরত মহম্মদকে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে দেশের বহু জায়গা। হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে। এবার সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিন। বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করে প্রায়শয়ই সংবাদের শিরোনামে আসেন এই লেখিকা। বিশেষ করে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে বারবারই সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এহেন লেখিকা এবার এই অতি সংবেদনশীল ইস্যুতে মুখ খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
একটি টুইট বার্তায় তলসিমা লেখেন, ‘আজ নব মহম্মদ বেঁচে থাকলে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মান্ধদের উন্মাদনা দেখে হতবাক হয়ে যেতেন।’ উল্লেখ্য, ভারত তো বটেই, পাকিস্তান, বাংলাদেশেও নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বেরিয়েছে। একাধিক দেশ কূটনৈতিক স্তরে ভারতের কাছে এই ইস্যু নিয়ে জবাবদিহি চেয়েছে। জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা হামলার হুমকি দিয়েছে। এই সব ঘটনার প্রেক্ষিতেই তসলিমার এই মন্তব্য।
এদিতে হজরত মহম্মদ বিতর্কে হিংসার ঘটনায় তৎপর হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। গতকাল গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক হিংসার ঘটনা সামনে আসে। সেই প্রেক্ষিতে ৭০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হিংসাত্মক বিক্ষোভ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি এবং পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে হাওড়া সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৭০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার গ্রেফতারির দাবিতে শুক্রবারও রাজ্যে জারি ছিল অবরোধ। শুক্রবারের নমাজের পর কলকাতা, হাওড়াসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় অবরোধ। যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তি পোহাতে হয় নিত্যযাত্রীদের। অবরোধ রুখতে একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। গতকাল দুপুরে কলকাতার পার্ক সার্কাস মোড় পথ অবরোধ করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। যার জেরে মধ্য কলকাতার যান নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে।
এদিকে হাওড়ার ধূলাগড়েও হয় একই রকম পথ অবরোধ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। বর্ধমান শহরেও প্রতিবাদ মিছিল করেন মুসলিমরা। অঙ্কুরহাটিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে রাখেন মুসলিমরা। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেও অবরোধ তোলেননি তাঁরা। বেলা ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে অবরোধ।