বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Taslima Nasrin on 1971 Rapes: ৭১-এ দু’লাখ বাঙালি নারীকে ভায়াগ্রা ছাড়াই ধর্ষণ করে পাকিস্তানিরা, মন্তব্য তসলিমার

Taslima Nasrin on 1971 Rapes: ৭১-এ দু’লাখ বাঙালি নারীকে ভায়াগ্রা ছাড়াই ধর্ষণ করে পাকিস্তানিরা, মন্তব্য তসলিমার

তসলিমা নাসরিন

রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেন দাবি করেন, যুদ্ধের কৌশল হিসেবে রুশ সৈনিকরা ইউক্রেনের মহিলাদের ধর্ষণ করছে। এবং এর জন্যে রাশিয়া নিজেদের জওয়ানদের ভায়াগ্রা দিচ্ছে। এই নিয়ে তসলিমা এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘১৯৭১ সালে ২ লাখ বাঙালি মহিলাকে ভায়াগ্রা ছাড়াই ধর্ষণ করে পাকিস্তানিরা।’

ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সৈনিকদের ভায়্গ্রা ব্যবহার করে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের বিভীষিকার কথা তুলে ধরলেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি একটি বিস্ফোরক দাবি করেন রাষ্ট্রসংঘের এক কর্তা। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেন দাবি করেন, যুদ্ধের কৌশল হিসেবে রুশ সৈনিকরা ইউক্রেনের মহিলাদের ধর্ষণ করছে। এবং এর জন্যে রাশিয়া নিজেদের জওয়ানদের ভায়াগ্রা দিচ্ছে। এই নিয়ে তসলিমা এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘১৯৭১ সালে ২ লাখ বাঙালি মহিলাকে ভায়াগ্রা ছাড়াই ধর্ষণ করে পাকিস্তানিরা।’

এর আগে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি প্রমিলা বলেন, ‘মহিলাদের বেশ কয়েকদিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হচ্ছে। ছোট ছোট ছেলে এবং পুরুষদেরও ধর্ষণ করতে শুরু করেছে রুশ সৈনিকরা। ইউক্রেনের নারীরা এই ভায়াগ্রা সজ্জিত রাশিয়ান সৈন্যদের সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। এটি স্পষ্টতই একটি সামরিক কৌশল।’ এই প্রেক্ষিতে একটি টুইট বার্তায় তসলিমা লেখেন, ‘ইউক্রেনীয়দের ধর্ষণের জন্য সেনাদের ভায়াগ্রা দিচ্ছে রাশিয়া! রুশ সামরিক কৌশলের অংশ এটা! নির্যাতিতাদের মনুশ্যত্ব কেড়ে নেওয়ার কৌশল! ভায়াগ্রা দিয়ে এ পর্যন্ত ১০০ ইউক্রেনীয়কে ধর্ষণ করেছে রুশ সামরিক বাহিনী। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ১৯৭১ সালে ভায়াগ্রা ছাড়াই দুই লক্ষ বাঙালি নারীকে ধর্ষণ করেছিল!’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশি ইতিহাসবিদদের দাবি অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই থেকে চার লক্ষ মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এই যুদ্ধ চলাকালীন ৩০ লাখ বাঙালি প্রাণ হারিয়েছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে সেই সময়কার বিভীষিকার তুলনা টানলেন তসলিমা।

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে যৌন হেনস্থার প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেন জানান, শুধু মহিলা নন, রুশ শেনার যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বহু ইউক্রেনীয় পুরুষ। বার্তা সংস্থা এএফপিকে প্রমিলা প্যাটেন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যে কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যান কখনই বাস্তব চিত্রকে প্রতিফলিত করবে না। কারণ, যৌন হিংসা নীরব অপরাধ। অনেকেই এই ধরণের অপরাধের কথা জানান না।’ রাষ্ট্রসংঘের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, রুশ সেনার হাতে নির্যাতিত মানুষদের তালিকায় ৪ বছর বয়সি শিশু থেকে ৮২ বছর বয়সি বৃদ্ধা রয়েছে। দাবি করা হয়েছে, বহু ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষকে তাদের নিকটাত্মীয়র বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া যৌন হেনস্থার ঘটনা দেখতে বাধ্য করা হয়েছে।

বন্ধ করুন