অক্সিজেনের ঘাটতি মেটানোর আশ্বাস, করোনা যুদ্ধে মোদীর পাশে টাটা-রিলায়েন্স

অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে এবার ময়দানে নামছে টাটা গ্রুপ এবং রিলায়েন্স।

করোনা আবহে অক্সিজেনের ঘাটতি (ছবি সৌজন্যে এএনআই)

অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে এবার ময়দানে নামছে টাটা গ্রুপ। আর টাটা সংস্থার এই উদ্যোগের প্রশংসায় বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী অক্সিজেনের ঘাটতির কথা স্বীকার করেন। আর এরপরই টাটা এবং রিলায়েন্সের তরফে ঘোষণা করা হয় যে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রকে সাহায্য করবে তাদের সংস্থা। উত্পাদন বাড়িয়ে আও বেশি পরিমাণে মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহ করবে এই বহুজাতিক সংস্থাগুলি।

এই বিষয়ে একটি টুইট বার্তায় টাটা গ্রুপের তরফে লেখা হয়, ভারতের জনগণের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবেদন প্রশংসনীয়। কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা। অক্সিজেন সঙ্কট প্রশমিত করার জন্য, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে জোরদার করার জন্য আমাদের সংস্থা একটি চেষ্টা করবে। টাটা গ্রুপ তরল অক্সিজেন পরিবহনের জন্য এবং দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে ২৪টি ক্রাইওজেনিক কন্টেইনার আমদানি করছে।

টাটা গ্রুপের এই টুইটটি রিটুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, 'টাটা গ্রুপের সহানুভূতিপূর্ণ পদক্ষেপ। একসাথে, ভারতবাসী কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে।'

এদিকে, রিলায়েন্স গ্রুপও মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাতের মতো রাজ্যে, যেখানে প্রতিদিন কোভিড -১৯ এর কেস বেড়ে চলেছে, সেখানে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে দৈনিক ৭০০ টন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জামনগরের তেল শোধনাগারে এই অক্সিজেন উত্পাদন হবে।

মঙ্গলবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে প্রায় ২০ মিনিট ধরে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ভাষণে তিনি লকডাউন থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। তাই তিনি রাজ্যগুলির কাছে অনুরোধ করেছেন যে লকডাউনকে অন্তিম বিকল্প হিসেবে দেখা হোক। মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন তৈরির দিকে বেশি করে নজর দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জানান, অক্সিজেনের সঙ্কট মেটানোর চেষ্টা চলছে। আর সেই প্রচেষ্টায় এবার সরকারের পাশে দাঁড়াল কর্পোরেট সংস্থাগুলি।