এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) কেনা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার শেষ পর্যায়ে টাটা (Tata) । সূত্রের খবর, চলতি মাসেই কেন্দ্রের কাছে দর হাঁকতে পারে Tata Sons Ltd ।
মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে দর কষাকষি করেছে টাটা। কর্মীদের পেনশন, রিয়েল এস্টেট অ্যাসেট ও দেনা- এই তিন বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শেষমেশ মীমাংসাও হয়েছে বলে জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।
রাষ্ট্রায়ত্ব ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স-এর সঙ্গে ২০০৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধে এয়ার ইন্ডিয়া। এর পর থেকে সেভাবে লাভ করতে পারেনি বিমানসংস্থা। একের পর এক লোকসান ও দেনার বোঝা চেপেছে ঘাড়ে।
অন্যদিকে টাটা গ্রুপ ইতিমধ্যেই দুটি যাত্রীবাহী বিমান পরিবহণ পরিচালন করে। একটি হল এয়ার এশিয়া। অন্যটি ভিস্তারা।
তাহলে এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য টাটা দর হাঁকছে কেন? সূত্রের দাবি, এয়ার ইন্ডিয়ার হাত ধরেই দেশজুড়ে আরও ছড়াবে টাটার উড়ানে ব্যবসা। তাছাড়া অনেক সংখ্যক বিমানও একসঙ্গে হস্তান্তর হবে।
তবে, আশঙ্কার জায়গাও নেহাত কম নয়। রয়েছে প্রচুর দেনা। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ ৫৮,২৫৫ কোটি টাকা দেনা ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার। তবে ক্রেতা টানতে এর মধ্যে থেকে ২৯,৪৬৪ কোটি টাকা SPV-তে স্থানান্তরিত করা হয়।
২০২১০এর অর্থবর্ষে আরও বেড়েছে লোকসানের বোঝা। ৯.৫০০-১০,০০০ কোটির লোকসান হয়েছে। তার আগের বছর সেটা ছিল ৮,০০০ কোটি টাকা।
বেসরকারি সংস্থা হিসাবে কিনলেও জারি রাখতে হবে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন। তার সঙ্গে কর্মী সংগঠনের চাপ তো থাকবেই। মোটেও আর পাঁচটা বেসরকারি সংস্থা কেনার মতো হবে না বিষয়টা।