ফের বেফাঁস তথাগত রায়। নেটিজেনদের একাংশ তথাগত রায়কে 'দাদু' বলে সম্বোধন করে থাকে। আর এতেই ফের চটেছেন বিজেপি নেতা। উল্লেখ্য, তথাগত রায় টুইটারে বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে থাকেন। রেহাই দেন না নিজের দলের রাজ্য সভাপতিকেও। যা নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় থাকতে হয় তাঁর দলকেও। এবারও তার অন্যথা হল না।
এদিন নেটিজেনদের একাংশকে আক্রমণ শানিয়ে তথাগত রায় টুইট করে লেখেন, 'যারা আমাকে 'দাদু' সম্বোধন করে তাদেরকে আমার আশীর্বাদ জানাই। শুধু সেই সব নাতি-নাতনিদের কাছে একটা প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই পাচ্ছি না। 'দাদু' মানে তো বাবার বাবা ও মায়ের বাবা দুই-ই হয়। আমি তাদের মধ্যে কাদের বাবার এবং কাদের মায়ের জন্ম দিয়েছিলাম?' আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, 'আমার বয়স বাড়ছে তা ঠিক।যাঁদের বয়স থেমে আছে তাঁদের গোপন কথাটা জানতে পারলে খুব ভালো হতো।শুধু কি চুলে কলপ?'
এদিন আরও একটি টুইটে তৃণমূল যুবর সভাপতি সায়নী ঘোষকে ফের আক্রমণ শানান তথাগত রায়। 'কন্ডোম' বিতর্ক ফিরিয়ে এনে তিনি লেখেন, 'মা ত্রিপুরেশ্বরীর লীলাভূমি, প্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদধন্য, ত্রিপুরার মাটি অপবিত্র করেছে এক তৃতীয় শ্রেণীর বুদ্ধিহীন অভিনেত্রী। শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরানো দেখে হাততালি দিয়েছে জিহাদি শয়তানরা। আর তাকে নিয়ে ধেই ধেই করে নাচছে কলকাতার কিছু চটিচাটা সংবাদমাধ্যম।'
তবে শুধু বিরোধী নয়, টুইটারে তথাগত রায়ের রোষের মুখে পড়তে হয় বিজেপি নেতাদেরও। দিলীপ ঘোষ, অরবিন্দ মেনন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের ভোটের পরে তুলোধোনা করেছিলেন তথাগত রায়। কয়েকদিন আগেই দিলীপ ঘোষকে পরোক্ষ ভাবে কটাক্ষ করে তথাগত রায় লিখেছিলেন, 'এই জন্যই বিদ্যাসাগর মশাই বলে গিয়েছেন মূর্খের অশেষ দোষ। পোস্টারটা যে ছেপেছে তার কথা বলছি। বংলা বর্ণমালার হ্রস্ব-ই বর্ণটা পর্যন্ত চেনা যাচ্ছে না।'