কোনও ঝুঁকি নিল না ত্রিপুরা। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন-সহ (সিবিএসই) দেশের অধিকাংশ রাজ্য বোর্ডের মতো মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করে দিল বিপ্লব দেবের সরকার।
শনিবার শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, মূল্যায়নের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হবে। তবে যে পড়ুয়ারা সেই নম্বরে সন্তুষ্ট হবেন না, তাঁরা পরীক্ষা দিতে পারবেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যদি কোনও পড়ুয়া ফলাফলে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তাঁরা পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ত্রিপুরা সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আদৌও হবে কিনা, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বোর্ডের মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করা হবে। রতনলাল বলেছিলেন, ‘স্বাস্থ্য দফতরের ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত আমরা দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণি পরীক্ষা নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলতে পারব না। সিবিএসই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া কী হত, তার জন্য আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করব আমরা।’ এমনিতে আগামী ২১ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল ত্রিপুরা সরকার।
তারইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে দ্বাদশ শ্রেণির মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানিয়েছে সিবিএসই। তাতে সায়ও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তারপর সংবাদসংস্থা এএনআইকে সিবিএসইয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আর আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার ফল ঘোষণা করবে সিবিএসই। তারপর আর দেরি করেনি ত্রিপুরা সরকার। শনিবারও সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বাতিল হয়ে যাচ্ছে দশম এবং উচ্চ মাধ্যমিকের বোর্ড।